• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

গরমে শিশুর যত্নে কী কী করবেন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ৪, ২০২৩, ১১:৫৬ এএম
গরমে শিশুর যত্নে কী কী করবেন

প্রকৃতিতে দাবদাহ যেন শেষই হচ্ছে না। প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ মানুষ। এই গরমে বড়দের যেমন ওষ্ঠাগত প্রাণ তেমনি শিশুদেরও ভীষণ কষ্ট হয়। অনেক শিশুরা তো বোঝাতে পারে না তাদের কষ্ট। তাই সঠিক যত্ন না নিলে শিশুরা অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে অতিরিক্ত ঘেমে গিয়ে শিশুরা পানিশূন্যতায় ভুগতে পারে। শিশুদের প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যেতে পারে। দুর্বল হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া এমন গরম আবহাওয়ায় শিশু জ্বর, বমি কিংবা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে। এতে শিশুর শরীর আরও দ্রুত পানিশূন্য হয়ে পড়ে। তাই এ সময় শিশুর যত্নে বাড়তি মনোযোগ দিতে হবে।


যেভাবে যত্ন নেবেন

  • শিশুকে প্রতিদিন গোসল করাতে হবে। দৈনিক অন্তত দুবার মাথাসহ পুরো শরীর নরম সুতি কাপড় কিংবা ভেজা গামছা দিয়ে ভালোভাবে মুছে দিতে হবে।
  • শিশুর শরীরে পানির ঘাটতি মেটাতে কিছুক্ষণ পরপর নিরাপদ বিশুদ্ধ পানি খাওয়াতে হবে।
  • যেসব শিশু এখনো বুকের দুধ পান করে, তাদের ঘনঘন বুকের দুধ দিতে হবে।
  • যেসব শিশু কৌটার দুধে অভ্যস্ত, তাদের জন্য মা-বাবাকে বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে দুধ খাওয়ানোর সরঞ্জাম ভালোভাবে পরিষ্কার রাখতে হবে।
  • শিশুকে জোর করে খাওয়ানো যাবে না। জোর করে খাওয়ালে শিশুর বমি হতে পারে। আর বমির কারণে শিশুর শরীরে পানিস্বল্পতা দেখা দিতে পারে।
  • একটু বড় শিশুদের চোখে চোখে রাখতে হবে। সুযোগ পেলে এসব শিশু পানির কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করে। এতে অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। অনেক সময় শিশুরা তৃষ্ণা মেটাতে পথের ধারে আইসক্রিম, নানান পানীয় খায়। এতে বমি ও ডায়রিয়া হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
  • গরমে শিশুকে ঢিলেঢালা ও পাতলা সুতির কাপড় পরাতে হবে। ঘেমে গেলে দ্রুত শরীর মুছে দিতে হবে।
  • বাড়িতে শিশুর শোবার ঘর ঠান্ডা ও আরামদায়ক রাখা জরুরি। ঘরে বাতাস চলাচল নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া ঘরের ভেতর ভেজা তোয়ালে কিংবা গামছা ঝুলিয়ে রাখলেও ঘর ঠান্ডা থাকে। ঘরে ফ্যান চালু রাখতে হবে।
  • ঘুমানোর সময় শিশুদের কাঁথা কিংবা বিছানার চাদরের ওপর শোয়ালে ভালো। এতে শিশুর ঘাম শুকিয়ে যাবে। নরম বালিশ কিংবা তোশকে না শোয়ানো ভালো। কারণ নরম বালিশ কিংবা তোশক দেবে গেলে গরম ও অস্বস্তি আরও বেড়ে যায়।
  • তীব্র গরমে অস্বস্তির কারণে শিশুরা বিরক্ত করে থাকে। কিন্তু মা–বাবার বিরক্ত হলে চলবে না। এ সময় শিশুদের কীভাবে একটু স্বস্তি দেওয়া যায়, তা নিয়ে বড়দের ভাবতে হবে।
Link copied!