শীতে সুস্থ থাকার জন্য শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার পাশাপাশি উষ্ণ থাকাও জরুরি। ডিম এই দুটি জিনিস তৈরি করতে বেশ কাজ করে। এতে কয়েক ধরনের ভিটামিন, মিনারেল এবং পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এর ফলে একে সুপারফুডও বলা হয়। আপনি যদি প্রতিদিন একটি করে ডিম খাদ্য তালিকায় রাখেন তবে শীতকালে এটি আপনার জন্য ওষুধ হিসেবে কাজ করতে পারে। জেনে নিন শীতে প্রতিদিন একটা করে ডিম খেলে কী কী সুবিধা পাওয়া যায়। জানাচ্ছেন ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টারের পুষ্টিবিদ উম্মে সালমা তামান্না।
ভিটামিন-ডি
ডিকিন ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট ফর ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি অ্যান্ড নিউট্রিশন (আইপিএএন)-এর গবেষকরা জানিয়েছেন, ঠান্ডা আবহাওয়ায় প্রতিদিন একটি ডিম খেলে শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি পূরণ হতে পারে। একটি ডিমে ৮.২ এমসিজি ভিটামিন ডি থাকে।
ডিমের প্রোটিন
স্বাভাবিকভাবেই ডিমে প্রোটিন বেশি থাকে। একটি মাঝারি আকারের ডিমে ৬ গ্রাম পর্যন্ত প্রোটিন থাকতে পারে। প্রোটিন শরীর দ্বারা অ্যান্টিবডি তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়। এটি শরীরকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয়। এর পাশাপাশি ডিম খেলে মাংসপেশির দুর্বলতাও দূর হয়। এমন পরিস্থিতিতে শীতের দিনে ডিম খাওয়া আপনার জন্য উপকারী হতে পারে।
কোলেস্টেরল কমাতে
ডিম খাওয়ার পরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। এর ফলে রক্তে খারাপ কোলাস্টেরল এলডিএলের পরিমাণ কমে যাবে। এর ফলে হার্ট অ্যাটাকসহ মারাত্মক হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে যাবে।
জিঙ্কের ঘাটতি দূর করতে
ডিমে জিঙ্ক থাকে। এটি একটি খনিজ। শীতে বা ফ্লুর মতো সাধারণ ঠান্ডাজনিত অসুস্থতা কাটিয়ে উঠতে এটি সাহায্য করে।