• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

ঘরোয়া উপায়ে অ্যাসিডিটি দূর


ঝুমকি বসু
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৫, ২০২৩, ০৬:০১ পিএম
ঘরোয়া উপায়ে অ্যাসিডিটি দূর

হজমের সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো অ্যাসিডিটি। অ্যাসিডিটির কারণে পাকস্থলি, বুক এবং গলায় জ্বালা হতে পারে। ঘন ঘন অ্যাসিডিটি গ্যাস্ট্রোসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজের (জিইআরডি) মতো গুরুতর সমস্যার কারণ হতে পারে। বিস্তারিত জানাচ্ছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. অর্পণা দাস।

অ্যাসিডিটির সাধারণ লক্ষণগুলো হলো—

* পাকস্থলিতে অস্বস্তি
* বমি বমি ভাব
* পেটে ফোলাভাব
* কোষ্ঠকাঠিন্য
* ক্ষুধা হ্রাস

তবে ঘরোয়া খাবারে সেগুলো দূর করা সম্ভব।

দুধ এবং দই
ঠান্ডা দুধ অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি দেয়। দুধ একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড এবং এটি ক্যালসিয়াম লবণ সমৃদ্ধ, যা অ্যাসিডকে নিষ্ক্রিয় করে। দই অ্যাসিডিটি নিয়ন্ত্রণের আরেকটি উপায়। ক্যালসিয়াম ছাড়াও এটি একটি প্রাকৃতিক প্রোবায়োটিক, যা হজমে সাহায্য করে।

মৌরি
এটি হজমে সাহায্য করে এবং মুখের গন্ধ দূর করতেও সাহায্য করে। এটি মিছরি জাতীয় কোনো কিছুর সঙ্গে খেতে পারেন। এছাড়া সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে পান করতে পারেন। চা হিসেবেও পান করতে পারেন।

ধনিয়া
অ্যাসিডিটি মোকাবেলায় ধনিয়া পাতা এবং এর শুকনো বীজ উভয়ই ব্যবহার করা যেতে পারে। ধনিয়ার রস পানি কিংবা বাটারমিল্কে যুক্ত করে পান করা যেতে পারে। শুকনো ধনিয়া বীজের গুঁড়া রান্নায় যোগ করা যেতে পারে। এটি চা হিসেবেও খাওয়া যেতে পারে। বমি বমি ভাব এবং পেট ফোলা দূর করতেও কাজ করে ধনিয়া।

মধু
গবেষণায় দেখা গেছে, উষ্ণ পানির সঙ্গে এক চা চামচ মধু খেলে অ্যাসিডিটি দূর হয়। এতে লেবুর রস যোগ করলে এটি ক্ষারীয় এজেন্টে পরিণত হয়, যা অ্যাসিডকে নিষ্ক্রিয় করে।

আজওয়াইন
আজওয়াইন সিড গ্যাস্ট্রিক এবং হজমের সমস্যায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বায়োকেমিক্যাল থাইমল আজওয়ানের একটি সক্রিয় উপাদান যা হজমে সহায়তা করে। আজওয়াইন বীজ এক চিমটি লবণের সঙ্গে খাওয়া যেতে পারে। অথবা এক চা চামচ সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে পান করতে পারেন।

Link copied!