জীবনযাত্রায় দ্রুতগতিতে অভ্যস্ত আমরা। সময়ের অভাবে হোক বা অভ্যাসের কারণেই হোক, রেস্তোরাঁর খাবারের প্রতি ঝোঁক আমাদের বেড়ে যাচ্ছে। তা ছাড়া অনেক রাত করে ঘুমানো, শরীরচর্চায় অনীহাসহ নানা কারণে নিজেদের অজান্তেই আমরা বিপৎসীমায় পৌঁছে গেছি।
হৃদ্রোগ সমস্যা যেন চারপাশ থেকে জড়িয়ে ধরেছে আমাদের। যেকোনো বয়সেই হঠাৎ করেই আক্রান্ত হয়ে যাচ্ছি হৃদ্রোগে। গবেষণা বলছে বিশ্বে প্রায় ৫২ কোটি মানুষ হৃদ্রোগে আক্রান্ত।
বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, আপনার ডায়েটই পারে হৃদ্যন্ত্রকে সুস্থ রাখতে। তাই প্রতিদিনের খাবারে গুরুত্বপূর্ণ কিছু জিনিস সংযোজন করতে বলেন বিশেষজ্ঞেরা। আবার অনেক ক্ষেত্রে বাদ দিতে বলেন কিছু নিরাপদ খাবারও।
আজকের আয়োজনে আমরা জেনে নেব হৃদ্যন্ত্র ভালো রাখতে গেলে খাদ্যতালিকায় কোন ধরনের খাবার রাখা উচিত।
• হৃদ্যন্ত্র ভালো রাখতে প্রতিদিন হলুদ খান। হলুদে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রয়েছে। এতে থাকা কারকিউমিন উপাদানটি হৃদ্যন্ত্রের ‘এন্ডোথেলিয়াল ফাংশন’-কে উন্নত করে। নিয়মিত হলুদ খেলে হৃদ্যন্ত্রের ধমনিগুলো নমনীয় হয়।
• প্রতিদিন খাওয়ার প্লেটে রাখুন সবুজ শাকসবজি। খেতে পারেন ঝিঙে, লাউ, পটোল, চিচিঙ্গা, কুমড়ো ইত্যাদি সবজি। এ ছাড়া খাদ্যতালিকায় রাখুন মুগডাল, মসুর ডাল, টোফু, ভাত, বার্লি। এই খাবারগুলো ধমনি থেকে দূষিত পদার্থ বের করে দেয়। ‘আর্টারি ব্লক’ হওয়ার আশঙ্কাও কমিয়ে দেয়।
• প্রতিদিন কী অনুপাতে খাবার খাচ্ছেন এবং কোন ধরনের খাবার খাচ্ছেন, সেটাও হৃদ্যন্ত্র সুস্থ রাখার জন্য জানা জরুরি। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিনের ডায়েটে ৬০ শতাংশ শাকসবজি, ৩০ শতাংশ প্রোটিন ও ১০ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট থাকা উচিত।
• হৃদ্যন্ত্রের সুস্থতার জন্য ডায়েট থেকে টকজাতীয় খাবার বাদ দিতে বলেন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞেরা। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী হৃদ্যন্ত্র সুস্থ রাখতে গেলে টমেটো, কমলালেবু, আনারস, লেবু, আঙুর খাওয়া উচিত নয়। তাই টকজাতীয় ফল এড়িয়ে চলুন। রান্নার সময় ভিনেগার ব্যবহার করা থেকেও বিরত থাকুন।
• ময়দার তৈরি লুচি বা পরোটা যতই খেতে ভালো লাগুক না কেন, হৃদ্যন্ত্র ভালো রাখতে গেলে ময়দা খাওয়া একদমই ঠিক নয়। এমনকি পছন্দের রেড মিটও বাদ দিন খাদ্যাভ্যাস থেকে।