• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

কণ্ঠের মায়ায় জড়ানো মানুষটি আজ কণ্ঠের জন্যই লুকিয়ে থাকেন!


দেব রায় দীপ্ত
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২২, ০১:২৩ পিএম
কণ্ঠের মায়ায় জড়ানো মানুষটি আজ কণ্ঠের জন্যই লুকিয়ে থাকেন!

যদি তালিকা করা হয় ঢালিউড সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির বলিষ্ঠ ১০ জন অভিনেতার তবে সেই তালিকার একদম উপরের দিকেই থাকবেন জনপ্রিয় অভিনেতা কাবিলা। নামটি পড়েই অনেকেই হয়তো স্মৃতি হাতরাচ্ছেন। অনেকেই ভাবছেন কোন কাবিলা! অনেকেই হয়তো ভুলে গিয়েছেন। আবার অনেকেই মনে করতে পেরেছেন।

বলছি বরিশাল থেকে সিলেট, সিলেট থেকে নোয়াখালী বেশ কয়েকটি অঞ্চলের ভাষায় খলনায়ক ও কৌতুক চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের মন ভরানো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনেতা কাবিলার কথা। চলচ্চিত্রে তিনি কাবিলা নামে পরিচিত হলেও বাস্তব জীবনে তার নাম নজরুল ইসলাম শামীম।

অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন এই অভিনেতা হয়তো পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন। কিন্তু না, তিনি বেঁচে আছেন। বেশ অনেক দিন পর তাকে দেখা গেলো জনসম্মুখে। বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পান্থপথের বসুন্ধারা সিটি সিনেপ্লেক্সে ইমন, নিপুণ ও নবাগত অভিনেত্রী সালওয়া অভিনীত ‍‍`বীরত্ব‍‍` সিনেমা দেখতে হাজির হন অনেক তারকা। অনেক তারকার ভিড়ে এসেছিলেন কাবিলাও।  

অনেক দিন পর তাকে দেখতে পেয়ে স্বাভাবিক ভাবেই গণমাধ্যমের ভিড় ছিলো তাকে কেন্দ্র করেই। কিন্তু তিনি সেদিন বারবার এড়িয়ে যেতে চাইলেন গণমাধ্যমকে। এরপর কাবিলাকে একা এক পাশে দাড়িয়ে থাকতে দেখে সংবাদ প্রকাশের প্রতিবেদক তার সাক্ষাতকার নেওয়ার কথা বললে তিনি হাসি মুখে বলেন পরে দেই। তবে প্রতিবেদকের বুঝতে বাকি রইলো না যে তার সেই হাসি ছিলো কষ্ট লুকানোর এক চেষ্টা।

অন্যদিকে সিনেমার বিরতিতে দেখা যায় শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন, প্রযোজক ইকবাল ও কাবিলা আড্ডায় মাতেন। কিন্তু সেই আড্ডায় কাবিলার কথা শুনতে কষ্টই হচ্ছিলো ইলিয়াস কাঞ্চনের। বারবার মাথা নিচু করে নিজের কানকে কাবিলার মুখের কাছে নিয়ে আসছিলেন তিনি।

আসলে কাবিলার এমন আচরণের পিছনের ঘটনা হলো, কণ্ঠনালি সমস্যার কারণে অনেক বছর ধরে কথা বলতে পারছেন না এক সময়ের পর্দা কাঁপানো এই অভিনেতা। যিনি কিনা একসময় নিজের কণ্ঠ দিয়ে একাই মাতিয়ে তুলতেন দর্শকদের। সেই কাবিলাই আজ হারিয়ে যাচ্ছেন ধিরে ধিরে।

কাবিলার একটি অন্যতম পরিচয় তিনি একজন জাতীয় বক্সার, খেলেছেন ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের হয়ে। ছোটবেলা থেকেই তিনি ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। আরামবাগ স্পোর্টিং ক্লাবে ফুটবল খেলেছেন একটা সময়। ফুটবলার হিসেবে স্বীকৃতি না পেলেও অভিনয়ে তিনি জাতীয় স্বীকৃতি লাভ করেন।

তিনি ‍‍`অন্ধকার‍‍` (২০০৩) চলচ্চিত্রে জন্য শ্রেষ্ঠ খলচরিত্রে অভিনয়শিল্পী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন এবং ২০১৩ সালে ‍‍`ভালোবাসা‍‍` আজকাল চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্বঅভিনেতা বিভাগে বাচসাস পুরস্কার অর্জন করেন।
 

কাবিলা ১৯৮৮ সালে যন্ত্রণা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিনয় জীবন শুরু করেন। প্রথম দিকে তিনি নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা অর্জন করলেও পরবর্তীকালে কৌতুকাভিনেতা হিসেবে আরও বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেন। তিনি প্রায় সাতশো চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।

Link copied!