অভিনেত্রী পারসা ইভানা যুক্তরাষ্ট্রে কয়েক মাস অভিনয় ও নাচের কোর্স করে কিছুদিন হলো দেশে ফিরেছেন। চলছে নতুন কাজের পরিকল্পনা। সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেন এই অভিনেত্রী।
যুক্তরাষ্ট্রে টানা কয়েক মাস ব্যস্ততায় কেটেছে অভিনেত্রীর। বললেন, “আম্মুর কাছে ছিলাম তো, মনেই হয়নি অনেক মাস ধরে দেশের বাইরে আছি। তা ছাড়া ছোটবেলার বন্ধুরা ছিল, ওদের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করেছি। নাচ ও অভিনয়ের কর্মশালা করেছি। মোটামুটি ব্যস্ততার মধ্য দিয়েই গেছে। দ্য ফ্রিম্যান স্টুডিওতে অভিনয় কোর্স ছিল ৩ মাসের আর স্টেপস অন ব্রডওয়েতে নাচের ওপর ১৫টি কর্মশালা করেছি।”
অভিনয় কেমন লাগে, উত্তরে অভিনেত্রী বললেন, “সত্যি বলতে, অভিনয় শিখে আমি অভিনয় করতে আসিনি। সিনিয়রদের কাছ থেকে, পরিচালকদের কাছ থেকে, মুভি দেখে, বই পড়ে যা বুঝেছি, তা-ই আয়ত্ত করার চেষ্টা করেছি। আমার কাছে মনে হয়েছে, আমি শিখতে চাই। ডিসিপ্লিন শিখতে চাই। একটা কাজের পেছনে ম্যানার্স থাকে, ডিসিপ্লিন থাকে। দেখা যায়, আমরা যখন একটা শুটিংয়ে যাই, চট করে শুটিং করি। বলি, এরপর কী, চলো যাই—এ রকম টাইপ। এর বাইরেও একজন মানুষকে শিল্পী হতে হলে কত ধরনের ডিসিপ্লিনের মধ্যে থাকতে হয়, কত পরিশ্রম করতে হয়, সে বিষয়গুলো জানার জন্য অভিনয়ের কর্মশালা করা। ওখানে এমনও অনেক মানুষ দেখেছি, শুধু নিজেদের উন্নয়নের জন্য বছরের পর বছর কোর্স করছে। তিন মাসের পরও মনে হয়েছে কিছুই শিখতে পারিনি। আরও কয়েক মাস যদি থাকতে পারতাম, তাহলে আরও কিছু জানতে পারতাম। দ্য ফ্রিম্যান স্টুডিওতে যে কোর্সটি করেছি, ওটার নাম বিহাইন্ড দ্য ক্যামেরা অ্যান্ড প্রিপারেশন। আম্মু যেহেতু ওখানে থাকেন, প্রতিবছর যাওয়া হয়, এখন থেকে যখনই যাব, একটা করে কোর্স করব ভাবছি।”
শুধু অভিনয় বা নাচ নয়, গানও গাইতে ভালো লাগে অভিনেত্রীর- “আই লাভ টু ড্যান্স। গুনগুন করে গাইতে পছন্দ করি। প্রচুর গান শুনতে ভালোবাসি। আর প্রচুর অ্যাকটিভিটি করতে পছন্দ করি। যেমন এবার আমি ইউএসএ গিয়ে অনেকবার রোলার কোস্টারে উঠেছি। হেলিকপ্টার রাইড করেছি। অ্যাডভেঞ্চার করতে পছন্দ করি। আমার সঙ্গে নাচের বড় ভাই (রাসেল) রোলার কোস্টারে উঠে তো অসুস্থ হয়ে গেছে। কিন্তু সে জায়গা থেকে আমি ছিলাম বিন্দাস। আমার খুব ইচ্ছা ছিল বিমানের ওপর থেকে লাফ দেওয়ার” বললেন পারসা।
পারসা বলেন, আমি বিমান থেকে লাফ দিতে চাই। এমন জায়গায় লাফ দেব, যেখানে সবাই নিরাপদ বোধ করে। ‘জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা’ ছবিতে যেমন বিমান থেকে লাফ দিয়েছিল, ওই রকম। ওইটাই আমার হায়েস্ট অ্যাডভেঞ্চার ড্রিম। ‘জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা’ দেখে মনে হয়েছে, জীবনে এ রকম অ্যাডভেঞ্চার থাকা উচিত। পাঁচ-ছয় বছর আগে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে একবার স্কুবা ডাইভিং করেছিলাম। ওটা ছিল খুবই ভয়ংকর। কারণ, আমি পানি খুব ভয় পাই। এবার অবশ্য নতুন একটা অ্যাডভেঞ্চার করেছি, চালক ছাড়া গাড়িতে উঠেছিলাম। বেশ রোমাঞ্চকর ছিল। এ ছাড়া তুরস্ক, শ্রীলঙ্কা, মরক্কো যেতে চাই। আমার মেয়েবন্ধুদের বলেছি, টাকা জমাও, আমরা গার্লস ট্রিপ দেব শ্রীলঙ্কায়।”