ভারত ভাঙার করার ডাক দিলেন অস্ট্রিয়ার অর্থনীতিবিদ গুনথার ফেলিঙ্গার, যা নিয়ে বিতর্ক চরমে। ৭৮ বছর আগে দাসত্বের শৃঙ্খল ভাঙা ভারত এখনো যেন এই বর্ণবাদীর চোখে একটা ‘খেলনা’। যেন, যখন ইচ্ছে হয়, তখন সেটিকে ভেঙে দেওয়া যায়! আজ ভারত বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি এবং এটি একটি পরাশক্তি হওয়ার দিকে এগিয়ে চলেছে। এই ভারতকে ভাঙার বার্তা দিলেন ন্যাটোর এই কর্মকর্তা। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের
রাশিয়ার থেকে তেল কেনার কারণে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্কের চাপ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তাতে বিন্দুমাত্র বিচলিত হয়নি ভারত। এদিকে ইউরোপ ভারতের থেকে রাশিয়ার তেল কিনছে শোধনের পর। এরই মধ্যে ফুটে উঠল ইউরোপের একাংশের সাম্রাজ্যবাদী মানসিকতা। গুনথার ভারতকে ধর্ম এবং জাতি ও ভাষার নিরিখে একাধিক ছোট ছোট দেশে ভেঙে দেওয়ার কথা বলেন। এ-সংক্রান্ত একটি ম্যাপ তিনি পোস্ট করেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
গুনথার হলেন ন্যাটো সম্প্রসারণ কমিটিতে অস্ট্রিয়ার চেয়ারম্যান। যদিও এই তথাকথিত কমিটি ন্যাটোর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নয় কোনোভাবেই। গুনথার একটি পোস্ট করে লেখেন, ‘ভারততে ভেঙে দেওয়ার ডাক দিচ্ছি আমি। নরেন্দ্র মোদি রাশিয়ার লোক। আমাদের মুক্ত খালিস্তানের বন্ধু চাই।’
গুনথার একটি ম্যাপ পোস্ট করেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে উত্তর ভারত গোটাটাই নাকি খালিস্তান। এ ছাড়া মহারাষ্ট্র, অন্ধ্র, বিহার, গুজরাট, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর-পূর্ব ভারত, দক্ষিণ ভারতের কেরালা, তামিলনাড়ু সব আলদা আলাদা পতাকার রঙে সজ্জিত।
এই অস্ট্রিয়ান রাজনীতিবিদ লেখেন, ‘আজ আমি শিখ ন্যারেটিভ (এক্স হ্যান্ডেল) সঙ্গে ২ ঘণ্টা ধরে আলোচনা করেছি। কীভাবে খালিস্তান স্বাধীনতা অর্জন করতে পারে, তা নিয়ে কথা হবে। ভারতকে ‘সাবেক ভারত’ করতে হবে। রাশিয়ারপন্থী স্বৈরশাসক নরেন্দ্র মোদির কবল থেকে ভারতের জনগণকে কীভাবে মুক্ত করা যায়, তা নিয়ে কথা হয়েছে আমার।’