ইসলামি বক্তা ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত জাতীয় পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি গিয়াস উদ্দিন আত-তাহেরিসহ ১৬ জনের নামে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা হয়েছে। হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব সাজিদুর রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য এবং স্থানীয় একটি মাদরাসায় ভাঙচুরের অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থানায় ৮ সেপ্টেম্বর মামলাটি করা হয়।
মামলার বাদী বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লক্ষ্মীমুড়া গ্রামের ফরিদুল ভূঁইয়া।
এ মামলায় ৫০ থেকে ৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। মামলার ২ আসামিকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ৬ সেপ্টেম্বর আসামিরা লাঠি, লোহার পাইপ, রড, ইট-পাটকেল এবং অন্যান্য দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দলবদ্ধ হয়ে বিজয়নগর ডাকবাংলো মোড়ে অবস্থান নিয়ে দেশ বরেণ্য আলেম, হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব সাজিদুর রহমানকে উদ্দেশ্যে করে কুরুচিপূর্ণ, অশ্লীল, মানহানিকর ও আপত্তিকর বক্তব্য দিয়ে তাণ্ডবলীলা চালিয়ে বিভীষিকাময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ফেসবুকে প্রচার করে। তারা জশনে জুলুসের নামে র্যালি করে তাদের এলাকা অতিক্রম করে কওমি অধ্যুষিত এলাকা চম্পনগরে প্রবেশ করে রাস্তার পাশে থাকা ফুরকানিয়া মাদরাসায় ইটপাটকেল ছুড়ে, কুপিয়ে মাদোসার দরজা-জানালা ভাঙচুর করে ২ লাখ টাকার ক্ষতি করে।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয় বিজয়নগর দৌলতবাড়ি দরবার শরীফের শাহ সুফী খাজা নাঈম উদ্দিন আহমেদকে (৫০)। ৪ নম্বর আসামি করা হয়েছে মুফতি গিয়াস উদ্দিন আত–তাহেরিকে (৪০)। আবদুর রহমান সরকার নাঈমী (৩০), মো. জাকির হোসেন জাক্কু (৫৫) এ মামলার ২ ও ৩ নম্বর আসামি।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মামলার আসামি জাকির হোসেন জাক্কুকে গত মঙ্গলবার দিনগত রাতে আখাউড়া থেকে এবং আসামি হুমায়ুন মিয়াকে (৪০) বিজয়নগরে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’