মাত্র ৭২ ঘণ্টায় মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার ৬টি দেশে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। সেপ্টেম্বরের ৮ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে ফিলিস্তিন, লেবানন, সিরিয়া, তিউনিসিয়া, কাতার ও ইয়েমেনে টার্গেটেড হামলা চালানো হয়। এতে শুধু গাজা উপত্যকাতেই অন্তত ৭০ জন নিহত হয়েছেন। ইয়েমেনে নিহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩৫ জন। সব মিলিয়ে শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এসব হামলার যৌক্তিকতা দেখিয়ে জানিয়েছেন, হামাস নেতাদের আশ্রয়দাতা দেশগুলোকে ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, হামাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের আশ্রয় না দিয়ে দেশ থেকে বের করে দিতে হবে, নতুবা ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে।
তবে নেতানিয়াহুর এই হুমকির কড়া জবাব দিয়েছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী আব্দুলরহমান আল থানি। রাজধানী দোহায় এক বক্তব্যে তিনি ইসরাইলের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, কোনো সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন মেনে নেওয়া হবে না। তিনি আরও জানান, ইসরাইলের হুমকি উপেক্ষা করে কাতার ফিলিস্তিনে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
আল থানি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ এনে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে আন্তর্জাতিক বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানান। তার মতে, ইসরাইল যে বর্বরতা চালাচ্ছে, তা কেবল মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়; বরং পুরো অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি।
ফিলিস্তিনে চলমান হামলা ও শতাধিক মানুষের প্রাণহানি বিশ্বব্যাপী নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে। বিশ্লেষকদের মতে, ইসরাইল ও কাতারের এই মুখোমুখি অবস্থান মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতিতে নতুন উত্তেজনা যোগ করেছে।