ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মৌসুমী সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে ‘১৩টি প্রশ্ন’ শিরোনামে অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে নিজের কিছু অন্তিম ইচ্ছার কথা প্রকাশ করেন। এরপর বিষয়টি ঘিরে নানা কথা শুরু হয়। এবার মৌসুমীকে নিয়ে মুখ খুললেন ইসলামি চিন্তাবিদ ও বিশ্লেষক মিজানুর রহমান আজহারী।
মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) রাত ১০টায় ‘লাইট আপন লাইট’ (দ্বিতীয় পর্ব) শিরোনামে ফেসবুক লাইভ অনুষ্ঠানের একটি অংশে এ অভিনেত্রীকে নিয়ে কথা বলেন তিনি।
এ সময় মৌসুমীর নাম উল্লেখ না করে আজহারী বলেন, “আমরা সম্প্রতি বাংলাদেশের একজন চিত্রনায়িকার আকুতির কথা শুনেছি। তিনি বলেছেন যে আমার মৃত্যুর পরে আমার মুভিগুলো, ভিডিও ক্লিপসগুলো সবাই ডিলিট করে দেবেন। তো সারা জীবন এই পাপের পথে চলে, এ-জাতীয় কর্মকাণ্ডে জড়িত থেকে শেষ জীবনে এটা বললে কি আসলে ডিলিট হয়? এই সোশ্যাল মিডিয়ার জগতে নিরঙ্কুশ স্বাধীনতা বলতে কিছু আছে, আমি চাইলেই কি ভিডিওগুলো ডিলিট করা যাবে? যাবে না, তাই আমরা শেষ সময়ে না বুঝে, শালীনতার পথে, সত্যের পথে, কল্যাণের পথে এখন থেকেই যেন থাকি। সময় চলে যাওয়ার পর যেন আমরা না বুঝি।”
এ বক্তা আরও বলেন, “আমাদের চিত্রনায়িকা যে বোন এ আকুতি পেশ করেছেন, আসলে কি তার পক্ষে গোটা বিশ্বে দর্শক-শ্রোতাদের কাছে তার মুভি, ভিডিওগুলোর যে সিন আছে, সেগুলো কি ডিলিট করা সম্ভব? দেখা যাবে, মৃত্যুর পরও সেগুলো চলতে থাকবে। এ বোনের (মৌসুমী) কথা শুনে, রুপালি পর্দার অন্য বোনেরা, আমরাও যেন একটু উপলব্ধি করি, আমরা কোন পথে হাঁটছি? আমার কাজ, ক্যারিয়ার কি আল্লাহর সন্তুষ্টির পথে আছে? এটা দিয়ে কি আসলে গণমানুষের কল্যাণ হচ্ছে? নাকি অশ্লীলতার দিকে ধাবিত হচ্ছি? একটু চিন্তা করি আমরা। একটু চিন্তা করি আমাদের লাইফস্টাইল সম্পর্কে।”
তিনি বলেন, “মানুষের হৃদয়ে একটি নূর থাকে আর কুরআন একটি নূর, দুই নূর মিললেই নুরুন আলা নুর (আলোর ওপর আলো)। এটা নিয়েই আমাদের লাইভের নামকরণ ‘লাইট আপন লাইট’। প্রত্যেকের মধ্যে সেই সত্যের অংশ আছে। একটু চিন্তা করলেই বেরিয়ে আসবে। সঠিক উত্তর পেয়ে যাবেন। চলচ্চিত্র জগতের পথটা কেমন। তবে শালীনভাবে কোনো কিছু উপস্থাপন করলে ভিন্নকথা। অশ্লীলতার দিকে ধাবিত করে এমন চলচ্চিত্র, এগুলোর জন্য আমরা শেষ বিচারের দিন কী জবাব রেডি করেছি।”