বাংলা চলচ্চিত্রের অমর নায়ক সালমান শাহ–এর মৃত্যু নিয়ে রহস্যের শেষ নেই। ১৯৯৬ সালে তার অকাল প্রয়াণের প্রায় তিন দশক পরও আলোচনা থামেনি। এবার আবারও বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন সালমান শাহর ছোট ভাই শাহরান চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাতে ফেসবুক লাইভে এসে শাহরান তার ভাইয়ের সাবেক স্ত্রী ও মামলার এক নম্বর আসামি সামিরা হককে নিয়ে আবেগঘন বক্তব্য দেন। লাইভে তিনি বলেন, “আমি সাধারণত লাইভে আসি না। তবে কিছু কথা বলা জরুরি মনে হয়েছে।”
সামিরাকে উদ্দেশ করে কান্নাভরা কণ্ঠে শাহরান বলেন, “আমার ভাই আপনাকে প্রচণ্ড ভালোবাসতো। একবার ভেবে দেখবেন, আপনি যেসব কারণে তাকে ভালোবেসেছিলেন, বিয়ে করেছিলেন, সেসব অনুভূতি কি এখনো মনে আছে? আপনার পরিবার মেনে না নিলেও আমাদের পরিবার আপনাদের কখনো ফেলে দেয়নি।”
তিনি আরও বলেন, “আপনারা বলেন, সালমান আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু একবার ভাবুন—আপনার সঙ্গে পরিচয়ের আগ পর্যন্ত সে পুরোপুরি স্বাভাবিক জীবনযাপন করতো।”
সামিরা প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অঝোরে কেঁদে ফেলেন নায়কের ছোট ভাই।
লাইভে শাহরান জানান, তিনি সামিরাকে ফোন করেছিলেন কিন্তু কোনো সাড়া পাননি।
“আমি সালমানের ভাই হিসেবে আপনার সঙ্গে সব সময়ই একটা সুন্দর সম্পর্ক রাখতে চেয়েছি। কিন্তু আপনি ফোন ধরেননি। হয়তো এখন বয়স হয়েছে, অনেক কিছু মনে নেই। আমি আপনাকে ছোট করবো না, শুধু বলবো—একবার নিজের কাজগুলো ভেবে দেখুন।”
তিনি ইঙ্গিত দেন, সামিরার অতীত নিয়ে অনেক তথ্য তার জানা আছে, তবে “সেগুলো এখন প্রকাশ করবেন না” বলে জানান।
“আপনি জানেন, কেন বগুড়া থেকে ঢাকায় এসে আশ্রয় নিয়েছিলেন। আমি আজ সেটা বলবো না। তবে আপনার নিজের কাজের জন্য আল্লাহর কাছে মাফ চান।”
সালমান শাহর বন্ধু ফারুককেও দায়ী করেন শাহরান। তার দাবি, “অভিনয়ের গুণ না থাকলেও সালমানের অনুরোধে ফারুক সিনেমায় কাজ করতেন। কিন্তু পরে সেই ফারুকই আমার ভাই ও শাবনূর সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিত সামিরাকে।”
লাইভে তিনি আরও বলেন, মামলার অভিযুক্ত ১১ জনকেই নিজেদের কৃতকর্মের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সালমান শাহর মৃত্যু হয়। সে সময় তার স্ত্রী সামিরা হক দাবি করেন, এটি আত্মহত্যা। তবে সালমানের পরিবার শুরু থেকেই বলে আসছে—এটি সুপরিকল্পিত হত্যা।
দীর্ঘ তদন্ত ও নানা বিতর্কের মধ্য দিয়ে এখনো এই মৃত্যুর রহস্য পুরোপুরি উদঘাটিত হয়নি।































