পারিবারিকভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয়। কনেকে আনা হয় বরের বাড়িতে। তবে পরদিন সকালেই বরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। ফরিদপুরের সালথা উপজেলার পিসনাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকাল সাতটার দিকে স্থানীয় বাসিন্দারা ওই গ্রামের একটি আখখেতের বেড়ার বাঁশে মো. জামাল ফকিরের (২৮) ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। পরে খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা লাশ উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসেন। বেলা ১১টার দিকে সালথা থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
স্থানীয় লোকজন জানান, আখখেতের বেড়ার যে বাঁশে জামালের লাশ ঝুলে ছিল, সেটির উচ্চতা মাত্র দুই থেকে আড়াই ফুট। এমন জায়গায় ঝুলে আত্মহত্যা করা প্রায় অসম্ভব।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে পারিবারিকভাবে পাশের নগরকান্দা উপজেলার ঘোনাপাড়া গ্রামের এক তরুণীর সঙ্গে বিয়ে হয় জামালের। শুক্রবার সকালে বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে জামালের লাশ পাওয়া যায়।
জামালের স্ত্রী রোকেয়া আক্তার বলেন, ‘সকালে মানুষের চিৎকার শুনে দরজা খুলতে গেলে দেখি, বাইরে শিকল লাগানো। পরে প্রতিবেশীরা দরজা খুলে দিলে দেখি, আমার স্বামীর লাশ উঠানে পড়ে আছে।’
জামালের বড় ভাই জালাল ফকির বলেন, তাঁর ভাইয়ের মৃত্যুর বিষয়টি রহস্যজনক। তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে কারও শত্রুতা নেই। ঠিক কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল, তাঁরা বুঝতে পারছেন না।
সালথা থানার ওসি মো. আতাউর রহমান বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।




































