পরীমনির গায়ে বারবার হাত তুলতেন রাজ!

বছরের শেষে শোবিজ জগতে আরও একটি তোলপাড় সৃষ্টি করা ভাঙনের খবর। ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় তারকা দম্পতি পরীমনি ও শরিফুল রাজের দাম্পত্য কলহের খবর প্রকাশ্যে এসেছে। ভালোবেসে বিয়ে করলেও মাঝেমধ্যেই টানাপোড়েন দেখা গেছে রাজ-পরীর সম্পর্কে। দীর্ঘদিন ধরেই বেশকিছু বিষয় নিয়ে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা চলছিল তাদের মধ্যে। তবুও সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে একসঙ্গে থাকার চেষ্টা করেছেন ঢালিউডের প্রতিবাদী এই নায়িকা।

২০২২ সালের শেষ দিনে ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, স্বামী রাজের সঙ্গে তার সংসারের ইতি টানছেন। পাশাপাশি শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) তিনি গণমাধ্যমকে আরও জানান, খুব শিগগির রাজকে ডিভোর্স লেটার দেবেন।

কিন্তু এর কয়েক ঘণ্টা পরই ফেসবুকে তিনি নতুন একটি পোস্ট দেন। এর সঙ্গে দুটি ছবিও শেয়ার করেছেন পরী। এ ছবিতে দেখা যায়, পরীর বাসার বিছানা ও বালিশ রক্তমাখা অবস্থায়। পরীমিন ছবি দুটি পোস্ট করে লিখেছেন, “হ্যাপি নিউ ইয়ার। আগামীকাল সংবাদ সম্মেলন, লোডিং....”

রোববার (১ জানুয়ারি) পরীমনি আরও একটি পোস্ট তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন। সেখানের নিজের ওপর রাজের অত্যাচারের কথাও তুলে ধরেছেন নায়িকা।

পরীর ভাষ্যমতে, “একটা সম্পর্কে পুরোপুরি সিরিয়াস বা খুব করে না চাইলে একটা মেয়ে, বাচ্চা নেয়ার মতো এত বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারে না কখনোই। আমার জীবনের সবটুকু চেষ্টা যখন এই সম্পর্কটাকে ঠিকঠাক টিকিয়ে রাখা তখনই আমাকে পেয়ে বসা হলো। যেন, শত কোটি বার যা ইচ্ছে তাই করলেও সব শেষে ওই যে আমি মানিয়ে নেই এটা রিতিমতো দারুন এক সাংসারিক সুত্র হয়ে দাঁড়ালো। আমি জোর দিয়ে বলতে পারি আমাদের এই সম্পর্ক এত দিন আমার এফোর্টে টিকে ছিলো শুধু। কিন্তু বারবার গায়ে হাত তোলা পর্যায়ে পৌছালে কোন সম্পর্কই আর সম্পর্ক থাকেনা। স্রেফ বিষ্ঠা হয়ে যায়।”

ছেলে রাজ্যের জন্যই এতদিন সম্পর্ক টিকিয়ে রেখেছেন উল্লেখ করে পরী আরও লেখেন, “রাজ্যের দিকে তাকিয়ে বার বার সব ভুলে যাই। সব ঠিক করার জন্যে পরে থাকি। কিন্তু তাতে কি আসলেই আমার বাচ্চা ভালো থাকবে! না । একটা অসুস্থ সম্পর্ক এত কাছে থেকে দেখে দেখে ও বড় হতে পারে না। তাই আমি, রাজ্য এবং রাজের মঙ্গল এর জন্যেই আলাদা হয়ে গেলাম।”

রাজ এবং তার পরিবার যদি পরীর ওপর ভবিষ্যতে কোনো অন্যায় করে তাহলে পরীমনিও কঠোর হবেন বলে জানিয়েছেন। নায়িকার ভাষ্যে, “রাজ এখন শুধু আমার প্রাক্তন’ই না,আমার ছেলের বাবাও। তাই রাজ্যের বাবার সন্মান রাখতে পাবলিকলি আর বাকি কিছু বলছি না আমি। তবে আমার ওপর তার আর তার পরিবারের কোনো অসুস্থ আচরণ বা হার্মফুল কিছু করার চেষ্টা করলে আমি কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবো।”

সবশেষে গণমাধ্যর্মীদের উদ্দেশে পরী বলেন, “সম্মানিত গণমাধ্যমকর্মী যারা রয়েছেন আপনারা নিশ্চই আমার মানসিক অবস্থা বুঝতে পারবেন আশা করছি। আমাকে একটু সময় দিন। শারীরিক ভাবেও আমি বিধ্বস্ত। রাজ্য তার বাবা মাকে একসাথে নিয়ে বড় হতে পারলো না এর থেকে কষ্টের আর কি হতে পারে আমার কাছে……!”