• ঢাকা
  • সোমবার, ২০ মে, ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,
অস্ত্রের চালান বন্ধের হুমকি

বাইডেনের ওপর খেপল ইসরায়েল


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ৯, ২০২৪, ০৩:২৫ পিএম
বাইডেনের ওপর খেপল ইসরায়েল
নেতানিয়াহু ও বাইডেন। ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের রাফায় অভিযান চালালে ইসরায়েলে মার্কিন অস্ত্রের চালান বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বুধবার (৮ মে) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ হুঁশিয়ারি দেন। বাইডেনের এ ঘোষণায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইসরায়েল।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলি দূত গিলাড এরডান এ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন। ইসরায়েলি সম্প্রচারমাধ্যম কান রেডিওকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গিলাড এরডান বলেছেন, “যুদ্ধের শুরু থেকে যে প্রেসিডেন্টের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আসছি, তার এমন বক্তব্য মেনে নেওয়া কঠিন। তা অত্যন্ত হতাশাজনক।”

গিলাড এরডান আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, “বাইডেনের এমন বক্তব্য ইরান, হামাস এবং হিজবুল্লাহকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সাফল্য পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী করে তুলবে।”

ফিলিস্তিনের বাস্তুচ্যুত বেসামরিক নাগরিকদের অনেকেই গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় আশ্রয় নিয়েছে। আশ্রয় নেওয়া এসব নাগরিকের জন্য মানবিক দিক বিবেচনায় নিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।

সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ইসরায়েল যদি রাফায় বড় ধরনের অভিযান চালায়, তাহলে তিনি তাদের মার্কিন অস্ত্র ও বোমার কিছু চালান বন্ধ করে দেবেন। বাইডেন মনে করছেন, এসব বোমা ব্যবহার করে গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করা হচ্ছে। একে অন্যায় বলে উল্লেখ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর এটি এখন পর্যন্ত বাইডেনের দেওয়া সবচেয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি। তবে বাইডেনের এমন হুমকি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলি দূত।

প্রশ্ন রেখে গিলাড এরডান বলেছেন, “রাফার মতো গুরুত্বপূর্ণ ও কেন্দ্রীয় এলাকাগুলোতে যদি ইসরায়েলি বাহিনীকে ঢুকতে না দেওয়া হয় তবে হাজারো সন্ত্রাসীর কী হবে? জিম্মিদের কী হবে? হামাসের নেতাদের কী হবে? আমরা কি আদৌ আমাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পারব?’

মূলত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আপত্তি সত্ত্বেও ইসরায়েল রাফা শহরে অভিযানের জন্য ট্যাংক পাঠিয়েছে। সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে অভিযানও চালাচ্ছে। তাদের দাবি, রাফা শহরটি এখন হামাসের নিয়ন্ত্রণে থাকা একমাত্র ঘাঁটি। এরডান মনে করে, শেষ পর্যন্ত নিজস্ব নাগরিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে যা যা করা দরকার, তাই ইসরায়েলকে করতে হবে।

এদিকে বৃহ্স্পতিবার ভোরে রাফায় ব্যাপক গোলা হামলা হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজা উপত্যকার কেন্দ্রভাগের উত্তরে ‘হামাসের অবস্থান’ লক্ষ্য করেও হামলা চালাচ্ছে তারা।

এর আগে মঙ্গলবার (৭ মে) ইসরায়েলি বাহিনী মিসরসংলগ্ন রাফা সীমান্ত বন্ধ করে দেয়। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ত্রাণ পাঠানোর ক্ষেত্রে এ সীমান্তটি প্রধান প্রবেশপথ হিসেবে বিবেচিত।

Link copied!