• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

অভিমানী বার্তা দিলেন মিমি


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৪, ০৩:৪০ পিএম
অভিমানী বার্তা দিলেন মিমি
অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। ছবি: সংগৃহীত

সামনে ভারতের লোকসভা নির্বাচন এর আগে বিধানসভার সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন মিমি চক্রবর্তী। সরকারি পদ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার পর সংসদ সদস্যপদ থেকেও পদত্যাগ করেছেন টালিউড অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির কাছে গিয়ে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন তিনি। তবে এবার তারকা এই সাংসদের পোস্টে উঠে এলো আক্ষেপ ও অভিমানের বার্তা।

শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ওপার বাংলার এ অভিনেত্রী ইনস্টা স্টোরিতে বব মার্লের এক জীবনদর্শনের কথা শেয়ার করেছেন। যার সারমর্ম করলে দাঁড়ায়, “মানুষ যখন সৎ থাকে তখনই সবাই তাকে ঘৃণা করে, কিন্তু মুখোশ পরা মানুষেরাই ভালোবাসা পায়।”

গত দুদিন ধরেই মিমি চক্রবর্তীর সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া নিয়ে রাজনৈতিকমহল থেকে নেটদুনিয়া তোলপাড়। আচমকাই টলিউড অভিনেত্রীর এমন পদক্ষেপে স্তম্ভিত অনুরাগীরা।

মিমি যাদবপুর থেকে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার বিধানসভা থেকে বেরিয়ে সংসদ সদস্যপদ ছাড়ার কারণ জানিয়েছিলেন টালিউড হার্টথ্রুব। তিনি বলেছিলেন, আমি বিশ্বাস করি রাজনীতি আমার জন্য নয়। কেননা রাজনীতি করলে আমাকে গালাগাল দেওয়ার লাইসেন্স পেয়ে যায় মানুষ। জেনেশুনে কখনো কারও ক্ষতি করিনি আমি। আমি রাজনীতিক নই। আর কখনো রাজনীতিক হবও না। আমি সবসময় একজন কর্মী হিসেবে মানুষের জন্য কাজ করতে চেয়েছি। বিরোধী দলের কারও বিরুদ্ধে কখনো বাজে কথা বলিনি।

গত বৃহস্পতিবার বিধানসভায় দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে মিমি চক্রবর্তী জানিয়েছিলেন, সাংসদ পদ ছাড়তে চান, এমনকী আগামী লোকসভা নির্বাচনে আর প্রার্থীও হতে চান না।

টালিউড তারকা বলেছিলেন, লোকসভায় কতদিন উপস্থিত থেকেছি আমি, সেসব নিয়ে মানুষের মাথাব্যথা। এক মাস দিল্লিতে থাকলে মানুষ বলবে সংসদ সদস্য দিল্লিতে থাকেন, এখানে তিনি কাজ করেন না। আবার এখানে থাকলে বলা হবে, সংসদে উপস্থিতি কম আমার। সবদিকে ভারসাম্য রাখতে হয়।

সেই ঘটনার পরদিন শুক্রবার বিকেলে সামাজিক মাধ্যমে সাংসদ খাতের হিসেব দেন যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ। বলেন, “সাংসদ ফান্ডের কত টাকা কোথায় ব্যবহার হয়েছে, কোথায় কাজ হয়েছে, সেই তথ্য নির্দিষ্ট পোর্টালেই পেয়ে যাবেন। এক নম্বরে কার নাম রয়েছে, সেটা যাচাই করে নিন। আর সেটাই আমার গর্বের কারণ।”

২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে তৃণমূলের টিকিটে জিতে যাদবপুরের সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। এই কয়েক বছরে মোট ১৭ কোটি টাকার বেশি কাজ করেছেন সংসদীয় এলাকার জন্য। কোন এলাকায় কত টাকা খরচ হয়েছে? তার হিসেবও দিয়েছেন পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে।

ফেসবুক পোস্টে তৃণমূলের তারকা সাংসদ মিমি চক্রবর্তী লিখেছিছেন, “আমার জীবন অধ্যায়ের অধিকাংশ সময় অভিনয় জগতে থেকে মানুষকে মনোরঞ্জন করেছি। কিন্তু বিগত ৫ বছর, বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ গণতন্ত্রের একজন সাংসদ রূপে যতটা কাজ সাধারণ মানুষের জন্য করতে পেরেছি, মানুষের করের টাকা সঠিকভাবে ব্যবহার করে উন্নয়নমূলক কাজ করেছি, সৎপথে থেকে মাথা উঁচু করে এগিয়ে গেছি, সেই সফরের কথা মনে করলে মারাত্মক আত্মতুষ্টি হয়।”


 

Link copied!