প্রথম স্ত্রী গুলতেকিন খানকে হলুদ একটি খামে ডাকযোগে বিবাহবিচ্ছেদের নোটিশ পাঠিয়েছিলেন কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ। প্রায় দুই দশক আগের সেই দিনের ঘটনা এক ফেসবুক পোস্টে তুলে ধরেছেন হুমায়ূন আহমেদের প্রথম স্ত্রী কবি গুলতেকিন।
২০০৪ সালের ৬ জুন হলুদ খামে ‘তালাকের নোটিশ’ আসার কথা জানিয়ে পোস্টে গুলতেকিন আরও লিখেছেন, ‘জুন মাসের ৬ (২০০৪ সালের) তারিখে স্কুল থেকে ফিরতেই শীলা বলল, “তোমার একটা প্রেমপত্র এসেছে।” আমি খামটি খুলতে খুলতে সিডি (এখানে ড-এর নিচে একটি ফোটা থাকার কথা) বেয়ে ওপরে উঠছিলাম, ওপরে উঠে চিঠিতে চোখ রাখতেই বের হয়ে আসল একটি কাগজ।’
নোটিশে হুমায়ূন লিখেছিলেন, ‘বিবাহের পর থেকেই তাহার সহিত আমার কোনোমতেই বনিবনা হইতেছে না। ভবিষ্যতেও বনিবনা হইবার কোনোরূপ সম্ভাবনা না থাকায় আমি অপারগ।’
পোস্টের নিচে মন্তব্যের বক্সে গুলতেকিন লিখেছেন, ‘আমার সাথে তার কোনো রকম বিরোধ নেই। আমি তাকে নিয়ে এখন পর্যন্ত একটিও নেগেটিভ কথা কারও কাছেই বলিনি। এটি আমার স্বভাবের সাথে যায় না।’
এ-বিষয়ক আরেক পোস্টে এই খাম খুঁজে পাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে গুলতেকিন লেখেন, ‘এই খামটির ভেতরে খুব যত্ন করে রাখা ছিল আরেকটি খাম, আজকে ট্যাক্স এর জন্য কিছু কাগজ খুঁজতে গিয়ে এটি পেয়ে গেলাম।’
পরে আরেকটি পোস্টে গুলতেকিন লেখেন, ‘আমি হাসতে হাসতে বললাম, শীলা বাবা, তোমার ডেডি তো আমাকে ডিভোর্স দিয়েছে।’
১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নের তরুণ শিক্ষক হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে কিশোরী গুলতেকিনের বিয়ে হয়। তাঁদের সংসারে আসে এক ছেলে ও তিন মেয়ে। গুলতেকিনের সঙ্গে বিবাবিচ্ছেদের দুই বছর পর ২০০৫ সালে হুমায়ূন আহমেদ বিয়ে করেন অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনকে। এরপর ২০১৯ সালে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও কবি আফতাব আহমদকে বিয়ে করেন গুলতেকিন।