• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চার মাস বেতন পাচ্ছেন না এফডিসির কর্মচারীরা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ৭, ২০২৪, ০৩:৪৯ পিএম
চার মাস বেতন পাচ্ছেন না এফডিসির কর্মচারীরা
এফডিসির প্রশাসন ভবনের সামনে ঝুলছে ব্যানার। ছবি: সংবাদ প্রকাশ

গত চার মাস ধরে বেতন পাচ্ছে না বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএফডিসি) কর্মকর্তা-কর্মচারী। এরই মধ্যে আসছে মাহে রমজান। সব মিলিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন এফডিসির ২১২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। উপায় না দেখে বেতন-ভাতার দাবিতে আগামী ১১ মার্চ এফডিসির জহির রায়হান কালার ল্যাবের সামনে মানববন্ধন করবেন তারা
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেতন অনিশ্চিত হওয়ার পেছনে মূল কারণ এফডিসির আয় কমে যাওয়া। একসময় প্রতিষ্ঠানটি লাভজনক ছিল, সরকারের রাজস্বেও যোগান দিত। বর্তমানে আয় কমার পেছনের কারণগুলো হলো—৩৫ মিলিমিটারে (সেলুলয়েড) সিনেমা নির্মাণের সময় কাঁচা ফিল্ম বিক্রয় বা ল্যাব প্রিন্ট হতো, ডিজিটাল প্রযুক্তি আসার পর সেটি এখন বন্ধ। 

এ ছাড়া এফডিসির ভবন নির্মাণে তিনটি ফ্লোর ভেঙে ফেলাতে প্রতিষ্ঠানটির ৭০ ভাগ আয় কমে গেছে। পাশাপাশি দেশে সিনেমা হল কমে যাওয়ায় প্রযোজকদের সিনেমা নির্মাণের আগ্রহও কমেছে।

বর্তমানে ফ্লোর, ক্যামেরা, ডাবিং, এডিটিং, লাইট, কালার গ্রেডিং, বিএফএক্স, শুটিং স্পট ইত্যাদি ভাড়া দেওয়ার মাধ্যমে মাসে প্রায় ৪৫ থেকে ৫০ লাখ টাকা আয় হয় এফডিসির। তার বিপরীতে ২১২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন, বিদ্যুৎ-পানির বিলসহ আনুষঙ্গিক খরচ মাসে প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ টাকা। আয় কমাতে এফডিসি এখন চরম সংকটে।

প্রতিষ্ঠানটির প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা হিমাদ্রি বড়ুয়া জানান, সবশেষ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের জন্য এফডিসির কিছু জায়গা অধিগ্রহণ বাবদ সরকার ৬ কোটি টাকা প্রদান করে এফডিআর করে রাখে। উক্ত এফডিআর থেকে ঋণ নিয়ে গত ৮ মাস যাবৎ এর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ করা হয়। ঋণের পরিমাণ এফডিআর’র কাছাকাছি হওয়ায় এখন ঋণ নেওয়া সুযোগও নেই। ফলে গত চার মাস ধরে বকেয়া পড়েছে বেতন ভাতা।

এর আগে, ২০১৫ সাল থেকে ব্যাংকে থাকা এফডিসির এফডিআর ভাঙিয়ে বেতন ও যাবতীয় খরচ নির্বাহ করা হতো। এক সময় এফডিআর শেষ হয়ে যাওয়ায় সরকারি প্রণোদনায় কিছুদিন ব্যয় নির্বাহ করা হয়েছিল।

সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় হতে টাকা সময় মতো পাওয়া যায় না বলেই এফডিসির হাল এখন বেহাল হয়ে পড়েছে। গত চার-পাঁচ বছরের অবসরে যাওয়া এফডিসির প্রায় ৭০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী তাঁদের ছুটি নগদায়ন এবং গ্র্যাচুয়িটি বাবদ পাওনা প্রায় ১৫ কোটি টাকা এখনও বুঝে পায়নি।

এফডিসির সূত্রে জানা যায়, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠান সরকারের রাজস্বভুক্ত হলেও জাতির পিতার হাতেগড়া দেশের সবচেয়ে বড় স্বায়ত্তশাসিত এই প্রতিষ্ঠানটি এত বছরেও সরকারের রাজস্বভুক্ত হয়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

Link copied!