গেল ৩ জুলাই দাম্পত্য জীবনের ইতি টানার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন তারা। এই তারকা দম্পতির সংসার ভাঙনের খবরে অনেকেই অনেক রকম মন্তব্য করেছেন। এবার তাদের বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রাণৌত।
শুধুমাত্র আমিরকেই আক্রমণ করেননি, ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের প্রতিও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী। ক্ষোভ প্রকাশ করে ইনস্টাগ্রামে একটি স্টোরি পোস্ট করেন কঙ্গনা।
ভিন্ন ধর্মাবলম্বী দুই ব্যক্তির মধ্যে বিবাহ সম্পর্কের উদাহরণ দিয়ে তিনি বোঝাতে চাইলেন, কেবল মাত্র ইসলাম ধর্মাবলম্বীর সঙ্গে বিয়ের করার ক্ষেত্রে ধর্মান্তরিত হতে হয়।
কঙ্গনা প্রতিবাদ জানিয়ে লিখলেন, “পঞ্জাবি পরিবারে এক পুত্রকে হিন্দু হিসেবে বড় করা হয়, অন্য জনকে শিখ ধর্মে বড় করা হয়। কিন্তু আমির খান স্যারের বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনায় আমি অবাক হয়ে গেলাম। হিন্দু ধর্মাবলম্বী কিরণ রাও ও আমির খানের ছেলে কেবল মুসলমান পরিচয় পেল কেন? যদি একটি পরিবারে নাস্তিক, হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, রাধাস্বামী মতে বিশ্বাসী একত্রে বসবাস করতে পারেন, তবে কোনও মুসলমানকে বিয়ে করলে নিজের ধর্ম বদলাতে হয় কেন?”
প্রসঙ্গত, কিরণ রাও নিজেকে ‘নাস্তিক’ বলে পরিচয় দেন। আবার বিয়ের পর নিজের নাম থেকে ‘রাও’ পদবি মুছে ফেলেননি তিনি। কিরণ নিজেও নিরামিষাশী এবং বিয়ের পরে আমির খানকেও আমিষ ছেড়ে নিরামিষাশী হয়ে যাওয়ার পথ দেখিয়েছেন। এখন দুজনের কেউই আমিষ খান না।
এছাড়া তাদের ছেলে আজাদের নামের পিছনে মা ও বাবা দুজনের পদবিই রেখেছেন তারা। ছেলের পুরো নাম আজাদ রাও খান। যদিও আজাদ নামকরণের পিছনে অন্য ইতিহাস রয়েছে। আমির খান তার ছেলের নাম রেখেছেন তার ছেলের নাম রেখেছেন স্বাধীনতা সংগ্রামী মৌলানা আবুল কালাম আজাদের নামে, যিনি আবার আমিরের পরিবারেরই মানুষ ছিলেন।
কিন্তু কঙ্গনার দাবি, “সময়ের সঙ্গে আমাদের মানসিকতাকেও পরিবর্তন করতে হবে। সব ধর্মের মধ্যে একমাত্র ইসলাম ধর্মের মানুষকে বিয়ে করলেই ধর্মান্তরণের রীতি বন্ধ করতে হবে।”