• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাবিতে অবিলম্বে সশরীরে ক্লাস চালু করার দাবি


জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১১, ২০২৪, ০৬:১৭ পিএম
জাবিতে অবিলম্বে সশরীরে ক্লাস চালু করার দাবি
প্রতীকী ছবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের আবাসন নিশ্চিত না করে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া চলবে না। অবিলম্বে সশরীরে ক্লাস শুরু করার জন্য জোর দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন।

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়ন এই দাবি উত্থাপন করেন।

অদক্ষ প্রশাসনের খামখেয়ালিপনায় নিদারুণ সংকটে পড়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের (৫২ ব্যাচ) শিক্ষার্থীরা। ভর্তি পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও সশরীরে ক্লাস শুরু করতে পারেনি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা। আবাসন সংকটের অজুহাত দেখিয়ে নবীন শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাসে পাঠিয়ে প্রশাসন যে দায়সারা আচরণ করছে, তাতে শিক্ষার্থীদের স্বপ্নময় বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শুরুতেই হোঁচট খাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার এক যৌথ বিবৃতিতে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সভাপতি অমর্ত্য রায় ও সাধারণ সম্পাদক ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “বর্তমান প্রশাসনের অব্যবস্থাপনা ও স্বেচ্ছাচারিতা চরম আকার ধারণ করেছে। ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের গণরুম-গেস্টরুমের নিপীড়নমূলক চর্চা অব্যাহত রাখতে কৃত্রিম সিট সংকটের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়কে ঠেলে দিয়েছে প্রশাসন। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে পর্যাপ্ত সিট থাকা সত্ত্বেও, একদিকে সিট ব্যবস্থাপনায় প্রশাসনের কোনোরূপ অংশগ্রহণ না থাকায়, হলগুলোতে ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠন সিটের রাজনীতিতে জিম্মি করছে আবাসিক শিক্ষার্থীদের। অন্যদিকে নতুন চারটি হল প্রস্তুত থাকলেও, বারবার হল চালুর সময় পিছিয়েও হলগুলো চালু করছে না প্রশাসন।”

তারা আরও বলেন, “উপরন্তু শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হল থেকে অপসারণের মাধ্যমে বৈধ শিক্ষার্থীদের আসন নিশ্চিতের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল প্রশাসন তার বাস্তবায়নেও কোনো সদিচ্ছা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। ফলে একদিকে ৫২ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অন্যদিকে, পূর্বের একাধিক ব্যাচের শিক্ষার্থীরা গণরুম-মিনিগণরুমে সীমাহীন দুর্ভোগে তাদের মেধার বিকাশ ঘটাতে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে।”

প্রশাসনের এই অদক্ষ ও দায়সারা আচরণে বহুমাত্রিক সংকটের মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠনের পরিবেশ। এমতাবস্থায় ৫২ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে বরণ না করেই আরও একটি ব্যাচের ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতি প্রশাসনের উপহাসসরূপ। বর্তমানে আবাসিক হলগুলোতে প্রায় ১০ হাজার ৩০০ সিটের সংস্থান এবং বিরাটসংখ্যক শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসের বাহিরে আবাসস্থল থাকা সত্ত্বেও, প্রশাসনের নির্লিপ্ততায়ই সিট সংকট নিরসন করা যাচ্ছে না।

বক্তব্যের একপর্যায়ে তারা অবিলম্বে নতুন চারটি হল চালু করে কৃত্রিম সিট সংকট নিরসনের দাবি জানিয়ে প্রশাসনকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তামাশা বন্ধ করার আহ্বান জানান।

৫২তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে বরণ করে নেওয়ার পূর্বে, আরও একটি ব্যাচের ভর্তি পরীক্ষা শুরু করার প্রহসন পরিত্যাগ করতে এবং ভর্তি পরীক্ষার ফরমের মূল্যবৃদ্ধির মুনাফা লোভী প্রবণতা থেকে সংযত হতে সতর্ক করেন নেতৃবৃন্দ। অন্যথায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে সকল স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত রুখে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।

শিক্ষা বিভাগের আরো খবর

Link copied!