• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

নিয়োগ বোর্ড নিয়ে ভিসি অফিসে ছাত্রলীগ-শিক্ষক মুখোমুখি


ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৪, ০৯:৪৯ পিএম
নিয়োগ বোর্ড নিয়ে ভিসি অফিসে ছাত্রলীগ-শিক্ষক মুখোমুখি
ভিসি অফিসে ছাত্রলীগ-শিক্ষক মুখোমুখি। ছবি : সংগৃহীত

নিয়োগ বোর্ডকে কেন্দ্র করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্যের কার্যালয়ে ছাত্রলীগ ও শিক্ষকদের একদল মুখোমুখি হয়। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে এ ঘটনা ঘটে। 

এদিকে নিয়োগ বোর্ডকে কেন্দ্র করে কিছু অডিও-ভিডিও ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। নিয়োগ বোর্ডকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ, শিক্ষক ও কর্মকর্তারা দুই দলে বিভক্ত। নিয়োগ বোর্ডের দুর্নীতির অভিযোগের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বোর্ডের ব্যবস্থা করা উচিত নয়, অন্য শিক্ষক বাহিনী দাবি করলেও অন্যরা বিপরীত।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, কর্মকর্তারা সকাল ৯টা থেকে পুরো দিন কর্মবিরতি পালন করেন এবং অবসরের বয়স বৃদ্ধিসহ উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের কার্যালয়ে তাদের ১২ দফা দাবি জানান। তাদের দাবি, নিয়োগ বাণিজ্যের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত নতুন নিয়োগ বোর্ড নির্বাচন না করা উচিত।

ইবি শিক্ষক সমিতির সেক্রেটারি অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান, শাপলা ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ, সেক্রেটারি অধ্যাপক ড. রবিউল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সেক্রেটারি অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিন, অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান ইবি ভিসি কার্যালয়ে নিয়োগ বাণিজ্য নিয়ে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বোর্ড আয়োজন না করার দাবিতে উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে ইবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মুন্সী কামরুল হাসান অনিক, মৃদুল হাসান রাব্বি, নাইমুর রহমান জয়, যুগ্ম সম্পাদক হোসেন মজুমদার, নেতা বিপুল হোসেন খান, শাহজালাল সোহাগ, শাহিন আলম, হাফিজসহ ৩০ জনের বেশি নেতাকর্মী নিয়োগ শেষ করার দাবিতে ভিসি কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন।

ভিসি কার্যালয়ে শিক্ষক ও ছাত্রলীগের সদস্যরা ৩০ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে নিয়োগ বোর্ডের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি আহ্বান জানান। অবশেষে প্রক্টরিয়াল বডি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের শান্ত করে।

পরে উপাচার্য কার্যালয়ে শিক্ষকদের প্রতি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজের প্রতিবাদে ক্যাম্পাসের ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ ম্যুরালের সামনে মানববন্ধন করেন শিক্ষকরা।

এ বিষয়ে ইবি ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সলা সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, “আমরা কোনো নিয়োগ বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত নই। আমরা সব সময় স্বচ্ছ বোর্ডের পক্ষে।”

কর্মকর্তা সমিতির সম্পাদক ওয়ালিদ হাসান মুকুট বলেন, “নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগের সুরাহা হয়নি। এরই মধ্যে উপাচার্য নতুন নিয়োগ বোর্ডের ব্যবস্থা করেছেন। আমরা এর প্রতিবাদ করে ভিসিকে বলেছি, যতক্ষণ না এর সুরাহা না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা এই বোর্ড হতে দেবো না। আমাদের দাবি পূরণে আন্দোলন চলবে।”

শাপলা ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ বলেন, “ভিসি নিয়োগের অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মান ক্ষুণ্ন হয়েছে। তাই আমরা চাই ইউজিসির তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সব বোর্ড বন্ধ হোক।”

এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান বলেন, “নিয়োগ বাণিজ্যের তদন্তকালে নিয়োগ বোর্ডের প্রক্রিয়াকরণ একটি খারাপ সিদ্ধান্ত। আর এখানে ছাত্রলীগকে আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে। আমরা আমাদের দাবি জানিয়েছি এবং পরে সিদ্ধান্তের মাধ্যমে কর্মসূচি ঘোষণা করেছি।”

উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, “কখনো কোনো নিয়োগ বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত নই। এই অভিযোগের কিছু করার নেই। আমি আমার সততার সঙ্গে এই অভিযোগের মুখোমুখি হতে চাই।” 

Link copied!