করোনা মহামারির কারণে ৫৭৯ দিন বন্ধ থাকার পর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৮ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে শিক্ষার্থীরা হলে প্রবেশ করতে শুরু করেন। এদিন শুধুমাত্র মাস্টার্স ও স্নাতক চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা পরিচয়পত্র, টিকা নেওয়ার সনদ অথবা নিবন্ধনের ফটোকপি জমা দিয়ে নিজ নিজ হলে প্রবেশের অনুমতি পান।
হলে প্রবেশকালে শিক্ষার্থীদের গোলাপ ফুল, চকলেটসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী মাস্ক ও স্যানিটাইজার উপহার দিয়ে স্বাগত জানান নিজ নিজ হলের প্রভোস্ট ও সহকারী প্রভোস্টরা।
দীর্ঘদিন পর শিক্ষার্থীরা হলে ফেরায় ক্যাম্পাসে উৎসবের হাওয়া লেগেছে। প্রাণের ছোঁয়া লাগছে ক্যাম্পাসে। হলের সামনে একে অপরকে দেখে বহুদিনের জমানো আবেগ প্রকাশ করেন।
এ সময় হলের ওঠা শিক্ষার্থীরা বলেন, “দেড় বছর পর হলে উঠেছি। সত্যিই বিষয়টা অনেক আনন্দের। আমরা প্রথম যখন সিট পেয়ে হলে উঠেছিলাম সেই অনুভূতি যেন আবারও হচ্ছে। এতদিন হলের ক্যানটিন, ডাইনিং ও আমাদের রুমগুলোতে কাটানো সময়গুলো মিস করেছি। আজ থেকে আবার সেই দিনগুলো ফিরে পাব।”
আগে থেকেই হল খোলার ব্যাপারে সব প্রস্তুতি শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে হলে থাকছে না গণরুম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হল প্রভোস্ট কাউন্সিল কমিটির সভাপতি ও খানবাহাদুর আহছান উল্লাহ হলের প্রভোস্ট (চলতি দায়িত্ব) অধ্যাপক ইকবাল আহমেদ।
অধ্যাপক ইকবাল আহমেদ বলেন, আপাতত করোনাকালীন সময়ে নতুন করে আর গণরুমে সিট বরাদ্দ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগে যে শিক্ষার্থীরা হলের গণরুমে থাকত তাদের ধীরে ধীরে অন্য ফাঁকা রুমে সিটের ব্যবস্থা করা হবে। বর্তমানে গণরুমে থাকা শিক্ষার্থীদেরকে হল থেকে নামিয়ে দেওয়া হবে না।
টিকার বিষয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী এ বছরের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ৮০ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী টিকা নিয়েছে এবং বাকিরা নিবন্ধন করেছে। এ সংক্রান্ত নোটিশ আরও তিন মাস আগেই শিক্ষার্থীদের পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস।
করোনার কারণে গত বছরের ১৮ মার্চ থেকে বন্ধ ছিল খুবির আবাসিক হলগুলো। ১৮ অক্টোবর থেকে স্নাতক চতুর্থ বর্ষ ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের হলে ওঠার মধ্য দিয়ে হলগুলো আবার খুলেছে। আগামী ২৬ অক্টোবর থেকে সকল বর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থীরা পর্যায়ক্রমে হলে উঠতে পারবেন।