অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির পর এবার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির পরই এমন দরপতন হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বুধবার (৭ জুন) খাতুনগঞ্জে এমন চিত্র দেখা গেছে।
পাবনা থেকে দুইদিন আগে প্রতি মণ ৩৬০০ টাকা দরে ১৩ টন পেঁয়াজ আনেন মো. বাচ্চু মিয়া। খাতুনগঞ্জে পৌঁছাতে কেজিতে ৯২ টাকা পড়েছে। কিছু ৭০-৮০ বিক্রি হয়েছে। তবে বুধবার সেগুলো ৪০-৪৫ টাকা দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। এবার কেজিতে ৪০ টাকা লোকসান।
তিনি বলেন, “এলসি আসবে আসবে বলে দেরিতে আসায় বেপারিরা গৃহস্থদের কাছ থেকে কিনেছে। এখন লোকসান হচ্ছে।”
পাবনার আতাইকুলার বেপারি মো. আবুল কালাম বলেন, “পাবনার বেড়া থেকে ৮৫ টাকা দরে পেঁয়াজ কিনেছি। গাড়িভাড়াসহ ৯০ টাকা পড়েছে। এখন খাতুনগঞ্জে ৪৮-৫২-৫৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে ৪০ টাকা লোকসান। আমরা ধীরে ধীরে লাভ করেছি এখন একসঙ্গে সব লোকসান হয়ে গেছে। কিন্তু কৃষক লাভবান হয়েছে। ২৬ বছর ব্যবসা করছি পেঁয়াজের। এতবড় লোকসানে পড়িনি।”
একে ট্রেডার্সের মালিক আনোয়ার হোসেন বলেন, “দেশি পেঁয়াজ দেখতে ভালো। কিন্তু ভারতের পেঁয়াজ কম দাম হওয়ায় দেশি পেঁয়াজের দাম কমেছে। আজ দেশি পেঁয়াজ বিক্রি মানভেদে ৫০-৫৩ টাকা।”
সৌমিক ট্রেডার্সে কিছু ভারতীয় পচা পেয়াজ ২০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। মোহাম্মদীয়া বাণিজ্যালয়ে পাটের চটের বস্তায় ভালো মানের ভারতীয় পেঁয়াজ ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
আবদুল মাবুদ খান সওদাগরের ম্যানেজার নজরুল ইসলাম জানান, ভারতীয় পেঁয়াজ মানভেদে ২০ টাকা থেকে ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। কিছু পেঁয়াজ পচে গেছে। বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে ফ্যানের নিচে রেখেও পচনের হাত থেকে রক্ষার সুযোগ নেই। ভারতের পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করা কঠিন। যে দামে পারছে বিক্রি করে দিচ্ছেন।
আপনার মতামত লিখুন :