• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

শেরপুর সীমান্ত সড়কে বন্য হাতি, সন্ধ্যার পর সতর্ক থাকার পরামর্শ


শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২০, ২০২৪, ০১:৩২ পিএম
শেরপুর সীমান্ত সড়কে বন্য হাতি, সন্ধ্যার পর সতর্ক থাকার পরামর্শ
গারো পাহাড়ি এলাকায় বেড়েছে বন্য হাতির উপদ্রব। ছবি : সংগৃহীত

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার গারো পাহাড়ি এলাকায় বন্য হাতির উপদ্রব বেড়েছে। প্রায়ই সীমান্ত সড়কে হাতির দল এসে রাস্তা দখল করে বসে থাকার ঘটনা ঘটছে। বন বিভাগ জানমালের ক্ষয়ক্ষতি রক্ষায় সন্ধ্যার পর সীমান্ত সড়ক এড়িয়ে চলাচলের পরামর্শ দিয়েছে।

জানা গেছে, দুই সপ্তাহ ধরে ১৭ থেকে ১৮টি বন্য হাতির দল কয়েকটি উপদলে উপজেলার মধুটিলা ইকোপার্ক এলাকায় অবস্থান করছে। দিনের বেলায় গহিন পাহাড়ে অবস্থান করে, আর সন্ধ্যা হলেই খাবারের খোঁজে নেমে আসছে লোকালয়ে। শুধু রাতে নয়, দিনের বেলাতেও এখন সীমান্ত সড়কে অবস্থান নিচ্ছে। এতে চলাচলে বিঘ্ন ঘটে ওই সড়কে যাতায়াতকারীদের। তাই সন্ধ্যার পর ওই সড়কপথ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে বন বিভাগ। বন্য হাতির উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় এলাকার বোরো চাষিদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে মধুটিলা ইকোপার্ক এলাকার মাজারের টিলা নামক পাহাড়ের গভীর জঙ্গলে অবস্থান করছে বন্য হাতির একটি দল। ১৭ থেকে ১৮টির এই উপদলটিতে ৪ থেকে ৫টি হাতিশাবক রয়েছে। বন্য হাতি মাঝেমধ্যেই মধুটিলা ইকোপার্কের ভেতরে প্রবেশ করে বন বিভাগের নার্সারি ও দীর্ঘ মেয়াদি মিশ্র বাগানের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে চলেছে। দিনে গহিন জঙ্গলে থাকলেও রাতে লোকালয়ে চলে আসার ভয়ে এলাকার লোকজন আতঙ্কের মধ্যে আছেন।

গত কয়েক দিন ধরে পাহাড়ের ঢালে বোরো ধান রোপণ করতে শুরু করেছেন এলাকার কৃষকরা। সদ্য রোপিত বোরো ধানক্ষেত পা দিয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করে দেয় বন্য হাতির দল। দীর্ঘদিন ধরে বন্য হাতির দল পাহাড়ি এলাকায় তাণ্ডব চালিয়ে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে আসলেও অত্যাচার বন্ধে সরকারিভাবে আজও কোনো প্রকার স্থায়ী উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে এলাকাবাসী জানান।

বুরুঙ্গা কালাপানি গ্রামের কৃষক মোবারক হোসেন বলেন, চলমান বোরো আবাদে ধান রোপণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ক্ষেত লাগানোর পর কবে যেন হাতির দল নষ্ট করে দেয়। এর আগেও বন্য হাতি আমার ব্যাপক ক্ষতি করেছে।

এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ বন বিভাগের মধুটিলা ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রায় ১৫ দিন ধরে ১৭ থেকে ১৮টি বন্য হাতির দল মধুটিলা ইকোপার্ক এলাকায় অবস্থান করছে। এরা ইতিমধ্যে তাণ্ডব চালিয়ে বাতকুচি বন বিটের দীর্ঘমেয়াদি মিশ্র বাগানের বেশ কিছু গাছ ভেঙে নষ্ট করেছে। সন্ধ্যা হলেই হাতিগুলো পার্কের পাশের সীমান্ত সড়কে চলে আসছে। এতে ওই সড়কে যাতায়াতকারীদের জীবনের ঝুঁকি বাড়ছে। তাই সন্ধ্যার পর সীমান্ত সড়ক এড়িয়ে চলাচল করতে বলা হয়েছে বন বিভাগের পক্ষ থেকে।

Link copied!