• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন

বিজয়ী হয়ে যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন


হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৮, ২০২৪, ০৯:২০ এএম
বিজয়ী হয়ে যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন
ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। ছবি : সংগৃহীত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-৪ আসনে প্রায় এক লাখ ভোটের ব্যবধানে স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বিজয়ী হয়েছেন। মাধবপুর ও চুনারুঘাট উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনে নৌকার প্রার্থী ছিলেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী। তিনি টানা দুইবারের সংসদ সদস্য।  

ফলাফল অনুযায়ী, ব্যারিস্টার সুমন পেয়েছেন ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯৯ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মাহবুব আলী পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৫৪৩ ভোট।

ফলাফল ঘোষণার পর গণমাধ্যমের সাথে কথা বলে ব্যারিস্টার সুমন। তিনি বলেন, “আমি খুশি যে এরকম একজন হেভিওয়েট প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রায় দেড় লাখ (এক লাখ হবে) ভোটের ব্যবধানে জিততে পারা। এটা শুধু জেতা না, এটা একটা অসম্ভব রকমের সম্মান। আমার কিন্তু ওই জায়গাগুলোতে কাজ করতে হবে যে জায়গাগুলোতে ওনি কাজ না করার কারণে আমি এই ভোটগুলো পেয়েছি। এটা একটা বড় দায়িত্ব।”

ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, “আমি বিশ্বাস করি যে ‘এভরি অ্যাচিভমেন্ট কামস উইথ এ রেসপনসিবিলিটি’ প্রতিটা অর্জনই কিছু না কিছু দায় নিয়ে আসে। আমার এই হিউজ অর্জন আমার অনেক বেশি দায়িত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে। আমি যে স্বপ্ন চুনারুঘাট-মাধবপুরবাসীকে দেখাইছি, সেই স্বপ্নের পথে আমাকে তো নিয়ে যেতে হবে। বাস্তবতার সাথে স্বপ্নের মিলন ঘটাইতে হবে। এবং আমি মনে করি অন্য যেকোনো এমপির চেয়ে আমাকে কষ্ট করতে হবে বেশি।”

ব্যারিস্টার সুমন বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, আমার পুঁজি হচ্ছে শরীর ও সততা। এই দুইটাকে ব্যবহার করে একটা ইতিহাস তৈরি করতে চাই। শুধু ভোটে জেতার ইতিহাস না, কাজের মধ্যদিয়ে, উন্নয়নের মধ্যদিয়ে। আমি বলেছি, ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি উচ্চতার মেসি ফুটবলের দুনিয়া বদলে দিয়েছে। আমি ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি। আমি অতটা অথর্ব তো না যে একটা এলাকা বদলাতে পারব না। আমি চেষ্টা করব আমার নিজের এলাকাটা অন্তত যেন বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার যে মডেল সেই মডেলটা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে চাই।”

তিনি বলেন, “আমার চিন্তা হচ্ছে, রাতে আমার ঘুম হবে না এখন। এই আসনে ৫ লাখ ১২ হাজার শুধু ভোটার, আর মানুষ প্রায় ৮ লাখ। একটা মানুষও যদি আমার কারণে না খেয়ে থাকে তাহলে আমার দুনিয়া তো যাবে, আখেরাতও যাবে।”

ব্যারিস্টার সুমন বলেন, “ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে আমি কাজ করতে চাই। যাদের সম্ভাবনা আছে তাদেরকে আমি সামনে নিয়ে আসতে চাই। যেই হোক, সে যদি কোনো কারণে আমার শত্রুও হয়, তাও উন্নয়নের স্বার্থে আমি তার সাথে বন্ধুত্ব ঘোষণা করতে চাই।”
 

Link copied!