• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

তিস্তায় পানি বৃদ্ধি, আতঙ্কে দুই পাড়ের মানুষ


লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুন ১৮, ২০২৩, ১০:০০ পিএম
তিস্তায় পানি বৃদ্ধি, আতঙ্কে দুই পাড়ের মানুষ

উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও কয়েক দিনের বৃষ্টিতে বাড়তে শুরু করেছে তিস্তা নদীর পানি।

রোববার (১৮ জুন) সকাল ৬টা ও ৯টায় ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হয়। ইতোমধ্যে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে।

কয়েক দিনের টানা থেমে থেমে বৃষ্টিতে ও উজানের ভারতীয় এলাকা থেকে আসা ঢলের পানিতে ধু ধু বালুচর এলাকা পানিতে ডুবতে শুরু করেছে। এতে তিস্তার চর ও নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে বাদাম, পাট ও মৌসুমী ফসলের ক্ষতি হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া পয়েন্ট সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১৭ জুন) বিকেল থেকে পানি বাড়তে শুরু করে। পরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহের রেকর্ড করা হয়। সন্ধার পর কিছুটা কমলেও রোববার ভোর থেকে আবার বাড়তে শুরু করে পানির তোড়। ভোর ৬টায় ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার নিচে ও সকাল ৯টায় ২৩ সেন্টিমিটার নিচে রেকর্ড করা হয়। তবে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিকেল ৩টার দিকে পানি প্রবাহ কিছুটা কমে বিপদসীমার ২৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এতে ডালিয়ার ভাটি এলাকায় ধীরে ধীরে পানি প্রবেশ করছে।

এদিকে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় কিছুটা ভোগান্তিতে পরেছেন তিস্তাপাড়ের মানুষ। চর এলাকায় চাষাবাদের জন্য বসবাসরত লোকজন গ্রাম এলাকায় চলে আসছেন। নৌকায় করে চরের ফসল নিয়ে আসছেন উচু এলাকায়।

তিস্তা গোবর্ধন এলাকার কৃষক রহিম মিয়া বলেন, “কয়দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। কালকেও পানি বাড়ছিল। আজকে আবারও বাড়তেছে। আমাদের বাদাম ক্ষেত, পাটক্ষেত ডুবে গেছে।”

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ বলেন, “তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে নিচু এলাকায় পানি ঢুকছে। আমরা ইউপি চেয়ারম্যানদের সবশেষ খবর রাখতে বলেছি। বন্যায় কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হলে সহায়তা দেওয়া হবে। এছাড়া আমরা জরুরি যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সজাগ রয়েছি।”

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, “গ্রীষ্ম মৌসুমে তিস্তার বিভিন্ন এলাকায় প্রকল্পের কাজ করা হয়েছে। মহিষখোচা এলাকায় ৪৯ কোটি টাকা ব্যয়ে বেরিবাধ করা হয়েছে। এছাড়া ভাঙনপ্রবন এলাকায় জিওব্যাগ ফেলা হয়েছে। জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি।”

Link copied!