• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ফুলে ফুলে সেজেছে উত্তরা গণভবন


নাটোর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩১, ২০২৩, ০৮:১৯ এএম
ফুলে ফুলে সেজেছে উত্তরা গণভবন

ফুলে ফুলে সেজেছে প্রধানমন্ত্রীর দ্বিতীয় কার্যালয় নাটোরের ‘উত্তরা গণভবন’। গণভবনের মূল ফটক দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতেই দুপাশের সারি সারি গাঁদা ফুল দর্শনার্থীদের বরণ করছে। এসব বাহারি প্রজাতির ফুলগুলো জানান দিচ্ছে ঋতুরাজ বসন্তের আগাম আগমনী বার্তা।

সবুজের বুকে লাল, নীল, হলুদ, সাদাসহ নানান প্রজাতির ফুল দর্শনার্থীদের হাত বাড়িয়ে ডাকছে। ফুলের মিষ্টি গন্ধে মুখরিত হয়ে উঠেছে গণভবন চত্বর।

দেশের বিভিন্ন প্রান্তর থেকে প্রতিদিন গণভবনে ঘুরতে আসা হাজার হাজার দর্শনার্থীদের নজর কাড়ছে বাহারি রংয়ের এসব ফুল। ফুলের অপরূপ সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে ফুলের সঙ্গে ছবি ও সেলফি তুলতে ব্যস্ত দর্শনার্থীরা। বড়দের পাশাপাশি শিশুরাও ফুলের সঙ্গে আনন্দে মেতেছে।

উত্তরা গণভবন চত্বরে ২১ প্রজাতির ২৫ হাজার ফুল গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। যার মধ্য রয়েছে গোলাপ, গাঁদা, ডালিয়া, নয়নতারা, সিলভিয়া, জিনিয়া, চন্দ্রমল্লিকাসহ নানান প্রজাতির ফুল। এছাড়াও দেশ-বিদেশের বিরল প্রজাতির ফুলও ফুটেছে। যার মধ্যে সাদা অ্যারামন্ডা, হোয়াইট পয়েন্সেটিয়া, পারিজাতসহ বাহারি প্রজাতির ফুল।

গণভবনে ঘুরতে আসা মেঘলা নামের এক দর্শনার্থী বলেন, “শীত মৌসুমে একবার করে গণভবনে ফুলের সৌন্দর্য দেখতে আসি। এ বছর স্বামী, সন্তান নিয়ে এসেছি। পুরো গণভবনে ফুলের গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। এখানকার ফুলগুলো অনেক সুন্দর। এসব ফুল খুব কম দেখা যায়। প্রতিবছর ফুলের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে দেখতে আসি।”

পাবনা থেকে ঘুরতে আসা দর্শনার্থী আঁখি খাতুন বলেন, “উত্তরা গণভবন প্রাচীন একটি স্থাপনা। বিশেষ করে ইতালিয়ান গার্ডেন অনেক চমৎকার। যতবার দেখি, তত মন ছুঁয়ে যায়।”

রাজশাহীর পুঠিয়া থেকে আসা লাবনী সরকার বলেন, “আমাদের আশপাশে এমন চমৎকার পর্যটন স্থান আছে যা না আসলে জানতাম না। অনেক সুন্দর একটি স্থান। রাজবাড়িটি দেখে বুঝার উপায় নেই, যে স্থাপত্য ৩০০ বছর আগে নির্মিত। রাজবাড়ির ভেতরে অজানা অনেক গাছ দেখলাম, যা আগে কোথাও দেখিনি।”

জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, “উত্তরা গণভবনে প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শনার্থী সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসছেন। তাদের আনন্দ দেওয়ার জন্য উত্তরা গণভবনে ২১ প্রজাতির ২৫ হাজার ফুলের চারা রোপণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে পুরো গণভবন ফুলে ফুলে সজ্জিত হয়ে উঠেছে। দর্শনার্থীদের আনন্দ দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেবে আমাদের এই চমৎকার ফুলের বাগান।”

১৯৭২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নাটোর দিঘাপতিয়া রাজবাড়িকে ‘উত্তরা গণভবন’ নামকরণ করেন। বঙ্গবন্ধু উত্তরা গণভবনের মূল প্রাসাদের ভেতরে মন্ত্রীসভার বৈঠকও করেছিলেন। সর্বশেষ ১৯৯৬ সালে উত্তরা গণভবনে মন্ত্রী পরিষদের বৈঠক হয়েছিল।

Link copied!