• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নারীকে পেটানোর অভিযোগ


টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ৪, ২০২৪, ০৭:৫২ পিএম
ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নারীকে পেটানোর অভিযোগ
জেলার মানচিত্র

টাঙ্গাইলের সখীপু‌রে প্রতিবেশী এক নারী‌কে পেটা‌নোর অভিযোগ উঠেছে সরকার নূরে আলম মুক্তা নামের এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। শনিবার (২ মার্চ) বিকেলে টাঙ্গাইলের সখীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার এক‌টি ভি‌ডিও সামা‌জিক যোগা‌যোগ মাধ‌্যমে ভাইরাল হ‌লে উপজেলাজুড়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় ওঠে।

অভিযুক্ত সরকার নূরে আলম মুক্তা উপ‌জেলার বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান।

এ ঘটনায় রোববার (৩ মার্চ) বিকেলে ওই চেয়ারম‌্যা‌নের বিরুদ্ধে সখীপুর থানায় লি‌খিতোভি‌যোগ দি‌য়ে‌ছেন ওই নারী। এছাড়া একইদিন উপজেলার কালীদাস বাজারে চেয়ারম্যানের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন এলাকাবাসী।

ভিডিওতে দেখা যায়, ভুক্তভোগী ওই নারী তার সন্তানের বিচার চাইতে প্রতিবেশী চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মুক্তার কাছে যান। এ সময় ওই নারী‌ উত্তে‌জিত হ‌য়ে কথা বলায় প্রতিবেশী রুবেল (৩৫) এসে ওই তার সঙ্গে কথাকাটাকাটিতে জড়ান। এক পর্যায়ে রু‌বেল তাকে মারধর ক‌রেন। এরপর চেয়ারম‌্যানও তা‌কে মারধর ক‌রেন।

জানা যায়, সখীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন ওই নারী। একই এলাকায় বসবাস করেন সরকার নূরে আলম মুক্তাও। দুজনের মেয়েই স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। সম্প্রতি চেয়ারম্যানের মেয়ে ও ওই নারীর মেয়ের মধ্যে ‘তুচ্ছ একটি ঘটনাকে’ কেন্দ্র করে চেয়ারম্যানের স্ত্রী বিদ্যালয়ে গিয়ে ওই নারীর মেয়েকে গালিগালাজ করেন। এর বিচার চাইতে গেলে মারধরের শিকার হন ওই নারী।

ভুক্ত‌ভো‌গী ওই নারী বলেন, “মেয়েকে হুমকি-ধমকি ও গালিগালাজের বিচার দিতে গেলে চেয়ারম্যান ও তার আরেক প্রতিবেশী রুবেল আমাকে বেধড়ক মারধর করে। তারা কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে আমার শরীর জখম করে দিয়েছেন।”

ইউপি চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মুক্তা বলেন, “ওই মহিলা পরিকল্পিতভাবে আরেক মহিলাকে সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিল। সে বাচ্চাদের স্কুলের তুচ্ছ বিষয় নিয়ে আমার বাসার গেটে লাথি মেরে নোংরা ভাষায় গালিগালাজ করেছে। পরে এক প্রতিবেশী প্রতিবাদ করলে ওই মহিলা প্রথমে প্রতিবেশীর গায়ে হাত তুলেছে। আমাকে ফাঁসাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওটি কেটে আংশিক প্রকাশ করা হয়েছে।”

সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ শাহিনুর রহমান বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Link copied!