কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় মাসুদ করিম লাল্টু (৪৬) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে ইউপি চেয়ারম্যানসহ ছয়জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান বিশ্বাস (৫৩), তার ভাই হাবিল উদ্দিন বিশ্বাস (৪৯), বাবলু বিশ্বাস (৪৬), একই গ্রামের আক্তারুজ্জামানের ছেলে মাহমুদুল হাসান সবুজ, কামরুজ্জামান বিশ্বাসের ছেলে রাশেদুল ইসলাম বিদ্যুৎ (৩৪) ও মৃত জলিল গাইনের ছেলে মাসুদ গাইন (৩৮)।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বলেন, হত্যা মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মাসুদ গাইন ও বিদ্যুৎ পলাতক।
অনুপ কুমার নন্দী আরও জানান, এ মামলায় তিনজনকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১৫ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার দহকুলা গ্রামে ২০১৬ সালের ২৮ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে পূর্বশত্রুতার জেরে মোল্লা মাসুদ করিম লাল্টুকে কুপিয়ে হত্যা করেন আসামিরা। নিহতের ভাই মাহবুবুল করিম মোল্লা আসামিদের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। নিহত মোল্লা মাসুদ করিম লাল্টু দহকুলা গ্রামের সোহরাব উদ্দিন মোল্লার ছেলে।
মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ৪ জানুয়ারি আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালত এ মামলায় সাক্ষীর সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। নির্ধারিত ধার্য তারিখে বিচারক রায় ঘোষণা করেন।
আপনার মতামত লিখুন :