• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ইতালি যাওয়ার পথে ট্রলারডুবি, ফরিদপুরের চার যুবক নিখোঁজ


ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ১৫, ২০২৩, ০৫:৪০ পিএম
ইতালি যাওয়ার পথে ট্রলারডুবি, ফরিদপুরের চার যুবক নিখোঁজ

লিবিয়া থেকে অবৈধভাবে ইতালি যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে ট্রলারডুবির ঘটনায় এখনো ফরিদপুরের চার যুবক নিখোঁজ রয়েছেন। খোঁজ না পেয়ে চরম উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে সময় পার করছেন তাদের স্বজনরা।

রোববার (১২ মার্চ) সমুদ্রপথে লিবিয়া থেকে ৩০ জনকে নিয়ে ইতালির উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে দালাল চক্র। বৈরী আবহাওয়ার কারণে ট্রলারটি উল্টে যায়। সোমবার (১৩ মার্চ) পর্যন্ত ১৭ জন বাংলাদেশিকে উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে রয়েছেন নগরকান্দার ডাঙ্গী ইউনিয়নের বিলগোবিন্দপুর গ্রামের নান্নু সররদারের ছেলে হৃদয় সরদার (২৫) ও আহমেদ ফরাজীর ছেলে রাসেল ফরাজী (২০)।

তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত নগরকান্দা উপজেলার ডাঙ্গী ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের মোস্তফা মাতুব্বরের ছেলে আল আমিন মাতুব্বর (২০), সোবাহান মোল্লার ছেলে মাহফুজ মোল্লা (২২), এসকেন মোল্লার ছেলে নাজমুল মোল্লা (২৩) ও সেকেন ব্যাপারীর ছেলে আকরামুল ব্যাপারী (২৭) নিখোঁজ রয়েছেন।

নিখোঁজ আল আমিনের মা চামেলী বেগম জানান, দুই মাস আগে তার ছেলে বিদেশ রওনা হন। এরপর বিভিন্ন দেশ হয়ে বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) তাদের সাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি নেওয়ার জন্য ট্রলারে ওঠানো হয়। তিনি জানান, দালাল চক্রের এক সদস্য কৃষ্ণনগর গ্রামের বাসিন্দা মুরাদ ফকির (৩৬) গত সোমবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে সাগরে ট্রলারডুবির পর আল আমিনের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি জানান।

চামেলী বেগম বলেন, “বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আমার ছেলের সঙ্গে শেষবারের মতো কথা হয়েছে। এরপর মুরাদ ফোন করে জানান, তাদের ইতালির যাওয়ার জন্য স্পিডবোটে উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

নিখোঁজ যুবকদের পরিবারের সদস্যরা জানান, গত ৫ জানুয়ারি ইতালির যাওয়ার জন্য ঢাকা যান তারা। এরপর ৮ জানুয়ারি দুবাই যান। দুবাইয়ে চার দিন থাকার পর মিসর হয়ে ১২ জানুয়ারি নাগাদ তারা লিবিয়া পৌঁছান। এরপর বৃহস্পতিবার তাদের ট্রলারে উঠিয়ে দেওয়া হয়।

স্থানীয়রা জানান, দালাল চক্রে মুরাদ ফকিরের সঙ্গে ডাঙ্গী ইউনিয়নের মশাউজান গ্রামের ফরহাদ ফকির, বিলগোবিন্দপুর গ্রামের লিটন সরদার ও আবুল হোসেন এবং বাসাগাড়ি এলাকার কাদের মাতুব্বর নামে আরও চারজন রয়েছেন। মুরাদ ফকির লিবিয়া থাকেন। কিছুদিন আগে তিনি দেশে এসেছিলেন। ১৫ দিন আগে আবার লিবিয়া চলে যান।

ডাঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কাজী আবুল কালাম বলেন, “মুরাদ একজন মানব পাচারকারী। তিনি এ পর্যন্ত অন্তত ২০০ জনকে বিদেশ পাঠিয়েছেন। তিনি লোক পাঠিয়ে কয়েক কোটি টাকা আয় করেছেন। তার অবস্থা রাতারাতি ফুলেফেঁপে উঠেছে। গ্রামে বড় বিল্ডিং করেছেন। তিনি এলাকায় ‘বিদেশে পাঠাইনা মুরাদ’ নামে পরিচিত।”

নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিরাজ হোসেন বলেন, এসব বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।

Link copied!