• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৭ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে বাড়ছে যানবাহনের চাপ


গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৮, ২০২৩, ০৯:৪৭ পিএম
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে বাড়ছে যানবাহনের চাপ

স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে ছুটির আগে বাড়ির দিকে ছুটছেন অনেকে। এতে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়ছে।

মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) দিনে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকেই চাপ বাড়তে শুরু করেছে। সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে বিভিন্ন জেলার উদ্দেশ্যে যাওয়া বাসসহ নানা যানবাহন। 

এদিকে ইফতারের আগে থেকেই ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের আনাগোনা বাড়তে থাকে চন্দ্রাসহ আশপাশের এলাকায়। এদের বেশিরভাগই গাজীপুরের বিভিন্ন কারখানার শ্রমিক। ইফতারের পরপরই তারা বিভিন্ন বাসে চেপে বসেছেন গন্তব্যের উদ্দেশে। বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়কের বাসগুলোও দূরপাল্লার সড়কে যাত্রী পরিবহন করছে।

পরিবার নিয়ে গাজীপুরের মৌচাক এলাকায় বাস করে স্থানীয় একটি কারখানায় কাজ করেন একরামুল হক রকি। কারখানায় ঈদের ছুটি ঘোষণার একদিন আগে ছুটি নিয়ে রওনা হয়েছেন স্বজনদের সঙ্গে  ঈদ করতে। চন্দ্রা এলাকায় কথা হয় তার সঙ্গে।

স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে ছুটি ঘোষণার একদিন আগেই বাড়ি যাচ্ছেন একরামুল হক রকি। তিনি বলেন, “বুধবার সারাদিন কাজ শেষে কারখানা ছুটি হবে বিকেলে। একদিনের ছুটি অগ্রিম নিয়ে ভোগান্তি এড়াতে পরিবার নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। সারা বছর অনেক স্বজনের সঙ্গে দেখা হয় না, সবাই আশায় থাকি ঈদে এক সঙ্গে দেখা হবে, আনন্দ হবে। অনেক আশা নিয়ে যাচ্ছি ঈদ করতে।”

শফিপুরের পল্লী বিদ্যুৎ এলাকার কারখানার শ্রমিক আবু রায়হান জানান, বরাবরই ঈদ যাত্রায় ভোগান্তি হয়, অতিরিক্ত ভাড়ার পাশাপাশি সন্তান নিয়ে বাসে যাতায়াত করতে কষ্ট হয়। তাই দুই সন্তানের স্কুল ছুটির পরই পরিবারকে গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছেন। আগামীকাল ডিউটি শেষে তিনিও বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন।

বগুড়াগামী আলম পরিবহনের চালক লিয়াকত আলী জানান, এখনো ঈদে ঘরে ফেরা মানুষ বের হননি। ইফতারের পর ভিড় বাড়লেও কাঙিক্ষত যাত্রী পাচ্ছেন না তারা। আগামীকাল অনেক কারখানা ছুটি হবে। তখন ভিড় আরও বাড়বে।

আরেক বাসচালক মমিনুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার রাত থেকে আরও ভিড় বাড়বে। অনেকেই তারাবির নামাজ শেষে রওনা হবেন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে। এ ভিড় ঈদের আগ পর্যন্ত থাকবে।

হাইওয়ে পুলিশের গাজীপুর রিজিওনের পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে হাইওয়ে পুলিশের গাজীপুর রিজিওনের অধীনে ৬৮০ জন পুলিশ সদস্য কাজ করছেন। যে কোনো স্থানে গাড়ি বিকল হওয়া মাত্রই গাড়ি সরিয়ে নিতে ১১টি রেকার কাজ করছে। যে কোনো অবস্থায় যানজটমুক্ত ঈদযাত্রা করতে হাইওয়ে পুলিশের গাজীপুর রিজিওনের অধীন ১৮টি থানা পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ছিনতাইকারী ও মলমপার্টিসহ যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স কাজ করছে বলে তিনি জানান।

Link copied!