• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড


কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৯, ২০২২, ০৯:৩৩ পিএম
তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

কুষ্টিয়ায় টেন্ডার বিরোধের জের ধরে লিটন বিশ্বাস (৩০) নামে এক যুবককে গলাকেটে হত্যার দায়ে তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ মামলা থেকে ২১ জন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরের দিকে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক তাজুল ইসলাম এ রায় দেন।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের সরকারি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন সদর উপজেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার পশ্চিম আব্দুল্লাহপুর গ্রামের ইছাক মাস্টারের ছেলে আলী রেজা সিদ্দিক বুলবুল ওরফে বড় কালু, একই উপজেলার মৃত্তিকাপাড়া এলাকার মৃত এছেম আলীর ছেলে মনোয়ার ওরফে মনো এবং মাইজপাড়া এলাকার জলিলের ছেলে লিয়াকত।

রায় ঘোষণার সময় আদালতে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা উপস্থিত ছিলেন না। তারা পলাতক রয়েছেন। আসামিরা গণমুক্তি ফৌজের সক্রিয় সদস্য ও শীর্ষ সন্ত্রাসী। তারা বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ২৭ জুন বিকালে বাড়ি থেকে বের হন লিটন। সেদিন রাতে তিনি বাড়ি ফিরেননি। নিখোঁজের পরের দিন ২৮ জুন সকালের দিকে কুষ্টিয়ার ইবির মেইন গেটের সামনে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের পূর্ব পাশে লিটনের দেহবিহীন রক্তাক্ত মাথা উদ্ধার করে পুলিশ। আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে ইবির টেন্ডার বিরোধের জেরে লিটনকে নির্মমভাবে হত্যা করে। ওইদিন নিহতের বাবা ও ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার গোলকনগর গ্রামের মৃত চেতন আলী বিশ্বাসের ছেলে আজিবর বিশ্বাস বাদী হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে ইবি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মজিবুর রহমান আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালত এ মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। নির্ধারিত ধার্য তারিখে আদালতের বিচারক মামলার আসামিদের শাস্তির আদেশ দেন।

 

 

Link copied!