চুয়াডাঙ্গায় বিয়ের ৮ বছর পর একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম দিয়েছেন সুমাইয়া খাতুন (৩০) নামের এক গৃহবধূ। এর মধ্যে একটি ছেলে ও দুটি মেয়ে সন্তান।
শনিবার (১৯ জুলাই) চুয়াডাঙ্গা শহরের নারজিতা ক্লিনিকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন সিজারিয়ানের মাধ্যমে তিন সন্তানের জন্ম দেন এই গৃহবধূ।
সুমাইয়া খাতুন মেহেরপুর সদর উপজেলার বুড়িপোতা ইউনিয়নের হরিরামপুর গ্রামের দিনমজুর শামীম হোসেনের স্ত্রী। খুব ছোটবেলায় বাবার মৃত্যুর পর সুমাইয়া খাতুন তার নানি বাড়ি চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা গ্রামে বড় হয়েছেন। বর্তমানের তিন সন্তানকে নিয়ে নানি বাড়িতে তার মামাদের তত্ত্বাবধানে আছেন।
বাবা শামীম হোসেন বলেন, “আমি একজন দিনমজুর। বিয়ের আট বছর পর তিন সন্তানের মুখ দেখে যতটা খুশি হয়েছি, ঠিক ততটাই চিন্তিত। সংসার চালাতেই আমি হিমশিম খাচ্ছি। তিন সন্তান মানুষ করতে বিপাকে পড়তে হতে পারে। মায়ের বুকের দুধ হচ্ছে না। কেনা দুধ খাচ্ছে সন্তানেরা। ক্লিনিকের বিল, স্ত্রীর ওষুধসহ যাবতীয় অনেক খরচ হয়েছে। আর্থিক সংকটের মধ্যে তিন সন্তানের জন্য দুধ কেনা অনেক ব্যয়বহুল। সরকারিভাবে কোনো সহযোগিতা পাই তাহলে খুব ভালো হয়।”
মা সুমাইয়া খাতুন বলেন, “খুব ছোটবেলায় বাবার মৃত্যুর পর নানি বাড়িতে বড় হয়েছি। এখন তিন সন্তান নিয়ে এখানেই আছি। কেনা দুধ খাওয়াতে হচ্ছে। গতকাল এক কৌটা দুধ কিনেছি, আজকে শেষ হয়েছে। যা তিন সন্তানের জন্য ব্যয়বহুল। মামাদের অর্থিক অবস্থা মোটেও ভালো না। আবার বাচ্চাদের বাবাও দিনমজুর, একদিন কাজে না করলে সংসার চলে না। সমাজের বৃত্তবান এবং সরকারি সহযোগিতা পেলে আমাদের খুব উপকার হবে।”
দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তিথি মিত্র বলেন, “আমি বিষয়টি জেনেছি। আবেদন করলে সরকারিভাবে সহযোগিতা করা হবে।” এছাড়া প্রাথমিকভাবে সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।