সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আগামী ২ সেপ্টেম্বর পঞ্চগড়ে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে দেশে চায়ের তৃতীয় নিলাম বাজার। পঞ্চগড় ছাড়াও ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, দিনাজপুর ও লালমনিরহাটের সমতল ভূমিতে উৎপাদিত চা প্রতিযোগিতামূলক বাজারে বিক্রির জন্য হচ্ছে এ নিলাম বাজার। এ জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসন ও পঞ্চগড় আঞ্চলিক চা বোর্ড।
পঞ্চগড়ে একরের পর একর বেড়েছে চা চাষ। এ কারণে বাগানভিত্তিক চা চাষের বাইরে বড় পরিসরে বেড়েছে ক্ষুদ্র পরিসরে চা চাষের পরিধিও।
২০০০ সালে ৪৫৪ একর পতিত জমিতে চা চাষের মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে তা এখন দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৭৯ একর জমিতে। চা চাষের শুরুতে স্থানীয় চা প্রক্রিয়াকরণ কারখানা মালিকপক্ষ প্রতি কেজি চা ২৮ টাকা থেকে ৩৫ টাকা দরে কাচা চা পাতা সংগ্রহ করলেও পরে এর দাম পড়ে যায়।
চা কারখানাগুলোর সিন্ডিকেটের কারণে চলতি মৌসুমের শুরুতে প্রতি কেজি কাঁচা চা-পাতার দর ১৮ টাকা নির্ধারণ করলেও চাষিরা পেয়েছেন ১২ টাকা করে। লোকসান হওয়ায় জেলায় একাধিকবার প্রতিবাদ সমাবেশ, বিক্ষোভও করেছেন চাষিরা। দাবি ওঠে পঞ্চগড়ে চায়ের নিলাম বাজার করার।
পঞ্চগড় আঞ্চলিক চা বোর্ডের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আমির হোসেন সংবাদ প্রকাশকে বলছেন, পঞ্চগড়ে চায়ের নিলাম বাজার চালু করার জন্য ইতিমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। নিলাম বাজার চালু হলে চা চাষিরা উপকৃত হবে।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম সংবাদ প্রকাশকে জানান, আগামী ২ সেপ্টেম্বর পঞ্চগড় বাংলাদেশের তৃতীয় চা নিলাম কেন্দ্র হতে যাচ্ছে। ফলে পঞ্চগড়ে যারা চা চাষ করছেন, ক্ষুদ্র চা চাষি আছেন তারা লাভবান হবেন।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, চলতি মৌসুমে পঞ্চগড়সহ উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় প্রায় সাড়ে ৯ কোটি কেজি সবুজ চা-পাতা আহরণ করা হবে। এসব চা-পাতা ২৬টি চা প্রক্রিয়াকরণ কারখানায় প্রক্রিয়াকরণ করে প্রায় ১ কোটি ৭৮ লাখ কেজি উন্নত মানের চা উৎপাদিত হবে।