• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

তিস্তার পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই, দুর্ভোগে পাঁচ হাজার পবিরার


লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুন ৩০, ২০২৩, ০১:০১ পিএম
তিস্তার পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই, দুর্ভোগে পাঁচ হাজার পবিরার

লালমনিরহাটে ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে আবারও তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে চর এলাকা ও নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) সন্ধ্যা থেকে তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ বাড়তে থাকে। শুক্রবার (৩০ জুন) সকাল ৯টায় তিস্তা ডালিয়া পয়েন্ট বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার নিচে রেকর্ড করা হয়েছে। পানি বেড়েছে ধরলা নদীতেও।

এতে তিস্তা ও ধরলা নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের বাড়ি ঘরে পানি পানি প্রবেশ করেছে। ডুবে গেছে রাস্তা ঘাট। পানিতে তলিয়ে গেছে বাদাম, আমন বীজতলা ও সবজি খেত। লালমনিরহাটের ৫ উপজেলার অন্তত ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

তিস্তা ও ধরলার পানি বৃদ্ধিতে জেলার পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, ফকিরপাড়া ইউপির রমনীগঞ্জ, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না ইউপির পাটিকাপাড়া, হলদিবাড়ী, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতিসহ পার্শ্ববর্তী রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার তিস্তা তীরবর্তি এলাকা, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী ও সদর উপজেলার ফলিমারীর চর খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করায় প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, “ভাঙ্গ প্রবণ এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি।”

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ বলেন, “আবারও বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। ঈদের আগে জেলার বন্যা কবলিত ইউনিয়নগুলোতে ৩০০ মেট্রিকটন চাল বিতরণ করা হয়েছে। খোঁজখবর রাখছি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় যাবতীয় প্রস্তুতি রয়েছে।”
 

Link copied!