• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

তিস্তার পাানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপরে


লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ১৩, ২০২৩, ০৮:৩৯ পিএম
তিস্তার পাানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপরে

উজানের ঢল ও ভারী বর্ষণে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে তিস্তার বাম তীরের বিস্তীর্ণ নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এদিকে পানির চাপে ডালিয়া ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। স্থায়ী বন্যার আশঙ্কা করছেন তিস্তা পাড়ের মানুষ।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা থেকে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এর আগে, বুধবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যার পর থেকে তিস্তায় পানি বাড়তে থাকে। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে।

বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় পানি বিপদসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপরে, দুপুর ১২টায় কিছুটা কমে বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপরে ও বিকেল ৩টায় পানি আবার কিছুটা বেড়ে বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। কিন্তু একই পয়েন্টে বিকেলে পানি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেতে থাকে।

এর ফলে জেলার পাটগ্রাম, হাতিবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার নতুন নতুন এলাকায় পানি প্রবেশ করছে। পানিতে ডুবেছে চরাঞ্চলের বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট। চরাঞ্চলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়ি যেতে ব্যবহার করতে হচ্ছে নৌকা। অনেকেই উচু স্থানে চুলা জ্বালিয়ে রান্নার কাজ সাড়ছেন। এছাড়া বিশুদ্ধ পানির সংকট ও স্যানিটেশন সমস্যায় ভুগছেন এ এলাকার বাসিন্দারা।

গোবর্ধন এলাকার জামাল মিয়া বলেন, “সকাল থেকেই পানি বাড়ছে, বাড়ি-ঘর ডুবে গেছে।”  

একই এলাকার মহুবর রহমান বলেন, “সকাল থেকেই পানি হাটু সমান তাই খাটের ওপর চুলা তুলে রান্না করতে হচ্ছে।”

মহিষখোচা এলাকার মানজেদুল ইসলাম জানান, রাত থেকে পানি বাড়ছে তিস্তায়। নদীপাড়ের নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। ডুবে গেছে ফসলের ক্ষেত রাস্তাঘাট ও পুকুর।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, “পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে, ফলে আরও পানি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ বলেন, “আমরা সার্বক্ষণিক বন্যার খোঁজ রাখছি। জেলায় দুর্যোগকালীন ৪৫০ মেট্টিক টন চাল ও ৭ লাখ টাকা বরাদ্দ আছে। ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট ইউএনও এবং পিআইওর মাধ্যমে ১১০ মেট্টিক টন চাল বিতরণ চলছে। আবারও তালিকা করে বরাদ্দ দেওয়া হবে।” 

Link copied!