• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

কুড়িগ্রামে কমতে শুরু করছে নদীর পানি, জনমনে স্বস্তি


কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুন ২৩, ২০২৩, ০৭:১৯ পিএম
কুড়িগ্রামে কমতে শুরু করছে নদীর পানি, জনমনে স্বস্তি

কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তার পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে। এতে কিছুটা স্বস্তি দেখা দিচ্ছে এই দুই নদীপাড়ের মানুষদের মাঝে। তবে দুধকুমার, গঙ্গাধর ও ধরলা নদীর পানি স্থিতিশীল রয়েছে, বিপৎসীমার কাছ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।  

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, শুক্রবার (২৩ জুন) দুপুর ৩টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দুধকুমার নদ পাটেশ্বরী পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার, ধরলা নদী সদর পয়েন্টে ৩৯ সেন্টিমিটার, তিস্তা কাউনিয়া পয়েন্টে ৯১ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র নদ নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫৭ সেন্টিমিটার ও চিলমারী পয়েন্টে ৬৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।  

উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্রের মশালের চরের বাসিন্দা হামিদুল জানান, “পানি কমতাছে। এবার হয়তো বন্যা হইবো না। তবে এরপরে পানি এলে বন্যা হইতে পারে।”

পার্শ্ববর্তী মুসার চরের আরেক বাসিন্দা জোবেদা বেগম বলেন, “সকাল থাকি হামার এট্টি পানি একন্যা কমছে। কাইল (গতকাল) থাকি যে রইদ (রোদ), এইজন্য মনে হয়ে পানি শুকবের (শুকাচ্ছে) নাগছে।”

কুড়িগ্রাম পাউবোর তথ্যমতে, বন্যা সতর্কীকরণের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী ২৪-২৫ জুন থেকে পানির সমতল হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহে এ অঞ্চলে বড় ধরনের বন্যার সম্ভাবনা নেই।”

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “পানি কমছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বড় বন্যার পূর্বাভাস নেই।”

জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখা জানায়, নদ-নদীর পানি কমছে। সার্বিক অবস্থার ওপর সতর্ক নজর রাখা হচ্ছে। চলমান পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মাঝে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে সহায়তা বিতরণ করা হচ্ছে।

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, “এখনো বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। যেভাবে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে তা স্বাভাবিক। এটাকে পানিবন্দি বলা চলে না। লোকজন জলাবদ্ধতায় পড়েছে। আশা করছি দুই একদিনের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করবে। আমরা সার্বিক পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি। ক্ষতিগ্রস্ত কিছু পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।”

Link copied!