• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

৪০ কিলোমিটার সড়কে বদলে যাবে দুর্গম পাহাড়ের মানুষের ভাগ্য


রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৯, ২০২৩, ০১:৪৮ পিএম
৪০ কিলোমিটার সড়কে বদলে যাবে দুর্গম পাহাড়ের মানুষের ভাগ্য

রাঙ্গামাটি জেলার দুর্গম উপজেলা বিলাইছড়ির একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যমে নৌপথ। এখন সেই দুর্গম বিলাইছড়ি উপজেলা যুক্ত হচ্ছে সড়কপথে। এটা বিলাইছড়িবাসীর কাছে ছিল স্বপ্নের মতো। সম্প্রতি কাপ্তাই উপজেলার কারিগর পাড়া থেকে বিলাইছড়ি উপজেলা সদর পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার সড়কের নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থানীয় কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার।

গত বছর ৪ মে একনেকের সভায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রকল্পের অনুমোদন দেন। কাপ্তাই উপজেলার কারিগর পাড়া থেকে বিলাইছড়ি উপজেলা সদর পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার সড়কের সঙ্গে যুক্ত হবে ১১টি সেতু। এতে ৩৩৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকার প্রকল্পের বরাদ্দ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে রাঙ্গামাটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।

রাঙ্গামাটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা যায়, ৩৩৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪০ কিলোমিটার সড়কের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। কাপ্তাই কারিগর পাড়া থেকে বিলাইছড়ি উপজেলা সদর পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার দুর্গম পাহাড়ি এলাকা দিয়ে সড়ক নির্মাণ করা হবে। এই সড়কের ৩১ কিলোমিটার কাপ্তাই অংশে এবং ৯ কিলোমিটার বিলাইছড়ি উপজেলার অংশে পড়েছে। ৪০ কিলোমিটার সড়কে সর্বমোট ১১টি সেতু নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে ৭টি কাপ্তাই উপজেলা অংশে এবং ৪টি বিলাইছড়ি উপজেলা অংশে নির্মাণ করা হবে। বিলাইছড়ি অংশের প্রতিটি সেতু হবে ৪০০ মিটার দৈর্ঘ্যের। সড়কটির নির্মাণকাজ ২০২৫ সালে শেষ হবে।

বিলাইছড়ির বাসিন্দা পুষ্প মোহন চাকমা বলেন, “আমাদের অনেক দিনের আশা ছিল সড়কপথে বিলাইছড়িকে যুক্ত করা। নির্মাণকাজ শুরু হওয়ায় আমরা বেশ খুশি। সড়ক নির্মিত হলে আমাদের এই উপজেলা আর দুর্গম থাকবে না। সামাজিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে আর কোনো বাধা থাকবে না। আমাদের বিলাইছড়িতে ছোট বড় বেশ কিছু ঝরনার আছে। এগুলো দেখতে প্রচুর পর্যটক এখানে আসেন, কিন্তু যাতায়াত সমস্যার জন্য এখানে পৌঁছানো সহজ ছিল না। সড়কের কাজ শেষ হলে এ সমস্যার সমাধান হবে।”

কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. জাকরিয়া বলেন, এই প্রকল্পটি যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হলে কাপ্তাই ও বিলাইছড়ি উপজেলার এলাকার জনসাধারণের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতি ও অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হবে।

খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের প্রতিটি উপজেলাকে সড়কপথের সঙ্গে সংযুক্ত করে স্থানীয় জনগণের জীবনমান পরিবর্তন করা হচ্ছে। সড়কটির নির্মাণকাজ শেষ হলে স্থানীয় জনগণ তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য যেমন বাজারজাত করতে পারবে, তেমনি এ অঞ্চলের পর্যটনশিল্পেরও বিকাশ ঘটবে।

Link copied!