• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বাংলাদেশ-ভুটানের সহযোগিতায় কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল


কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ১০, ২০২৪, ০৭:৫৯ পিএম
বাংলাদেশ-ভুটানের সহযোগিতায় কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল
অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শনে ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েনসিল। ছবি : প্রতিনিধি

বাংলাদেশ ও ভুটান সরকারের যৌথ উদ্যোগে কুড়িগ্রামে হতে যাচ্ছে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল।

রোববার (১০ মার্চ) দুপুরে সদরের ধরলার পাড় সৈয়দ ফজলুল করিম জামিয়া রহ. ইসলামিয়া মাদ্রাসা পাশে প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েনসিল।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কুড়িগ্রাম সদরের ভোগডাঙা ইউনিয়নের মাধবরাম মৌজার অন্তর্ভুক্ত ১৩৩ দশমিক ৯২ একর খাস জমি অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষকে (বেজা) হস্তান্তর করেছে জেলা প্রশাসন। ধরলা ব্রিজের পূর্ব প্রান্তে সৈয়দ ফজলুল করিম (রহ.) জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার উত্তরপূর্ব দিকে এই খাস জমির অবস্থান। প্রয়োজনে ওই স্থানে জমি অধিগ্রহণেরও সুযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে।

এ অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশ ভুটানের ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে। এছাড়া জেলার সোনাহাট স্থল বন্দরের কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে। এতে জেলার মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এগিয়ে যাবে।

পরিদর্শন শেষে ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েনসিল বলেন, “অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে এ জায়গাটি প্রাথমিকভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে। আমার বিশ্বাস এখানে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হলে বাংলাদেশের মানুষের কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি ভুটান উপকৃত হবে। আমাদের কার্যক্রম চলমান আছে।”

স্থানীয় বাসিন্দা মো. আব্দুল আজিজ বলেন, “কুড়িগ্রাম দরিদ্র ও বেকারত্ব জনগোষ্ঠীকে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। আমরা চাই দ্রুত এ অর্থনৈতিক অঞ্চলের কার্যক্রম শুরু হোক।”

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, “আমরা ১৩৩ দশমিক ৯২ একর জমি বেজার কাছে হস্তান্তর করেছি। আরও ৮৬ একর জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব আছে। জেলায় সোনাহাট স্থল বন্দর, তুরাগ স্থল বন্দর চিলমারী নৌবন্দর ও পাওয়ার স্টেশন কাছে থাকায় এটি মোটামুটি উপযুক্ত স্থান। সরকার আশা করছে এই অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হলে শিক্ষা সংস্কৃতি ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে। আমরা এটির বাস্তবায়নের চেষ্টা করছি।”

Link copied!