• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ধানের বাম্পার ফলন, ন্যায্য মূল্য নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক


বগুড়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৬, ২০২৩, ০৫:০৬ পিএম
ধানের বাম্পার ফলন, ন্যায্য মূল্য নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক

বগুড়ায় ধানে ধানে ভরে উঠেছে মাঠ। সেই সঙ্গে রঙিন হয়ে উঠেছে প্রান্তিক কৃষকের স্বপ্ন। মাঠজুড়ে এখন সোনালি স্বপ্নের ছড়াছড়ি। ইতোমধ্যে জেলার ৪০ ভাগ ধান কাটার উপযোগী হয়েছে। কেউ কেউ ধান কাটতে শুরু করেছেন, কেউ বা আবার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই পুরো দমে শুরু হবে ধান কাটা। তবে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি ও ধানের ন্যায্য মূল্য নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কৃষকরা।

বুধবার (২৬ এপ্রিল) জেলার নন্দীগ্রাম, শেরপুর, কাহালুসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা যায়, এ বছর ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। বৃষ্টি না থাকায় দ্রুত ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। তবে সার, কিটনাশক ও শ্রমিকের মজুরিসহ সবকিছুর দাম বৃদ্ধি হওয়ায় ধানের ন্যায্যমূল্য পাওয়া নিয়ে হতাশায় রয়েছেন কৃষকরা। এখন শ্রমিক পেলেও পুরো মৌসুমে শ্রমিক সংকট নিয়েও ভাবছেন তারা। তবে কৃষি বিভাগ বলছে, যান্ত্রিক নির্ভর হলে শ্রমিক সংকট থাকবে না। পাশাপাশি খরচও কম পড়বে।

কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানায়, বগুড়া জেলার ১২টি উপজেলায় চলতি মৌসুমে এক লাখ ৮৭ হাজার ১৯৫ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৭০ হেক্টর ধান কাটা হয়েছে। এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে ধান কাটা শুরু হয়েছে। মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে পুরোদমে ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হবে।

নন্দীগ্রামের পাঁচ গ্রামের কৃষক মাসুদ রানা জানান, ১৮ বিঘা জমিতে বিআর-২৮ জাতের বোরো ধান চাষ করেছেন। ইতোমধ্যে ১০ বিঘা জমির ধান কেটে মাড়াই সম্পূর্ণ হয়েছে। প্রতি বিঘায় গড়ে ২৮ মণ করে ফলন পেয়ে খুশি তিনি। ধান কেটে মাড়াই করে দেওয়ার জন্য শ্রমিকদের বিঘাপ্রতি ৪ হাজার ৮শ টাকায় চুক্তি করেছেন কৃষক মাসুদ।

নন্দীগ্রাম এলাকার কৃষকরা জানান, স্থানীয় শ্রমিকরা বিঘাপ্রতি ধান কাটা মজুরি নিচ্ছেন ৫ হাজার টাকা। তারপরেও সময়মত শ্রমিক পাওয়া যায়না। বিভিন্ন এলাকা থেকে শ্রমিক আনতে হয়।

জয়পুরহাটের কালাই থেকে আসা শ্রমিক শহিদুল ইসলাম বলেন, “আমরা ৪ হাজার ৮শ টাকা প্রতি বিঘা কাটছি। এতে আমাদের ৫ জনের সারাদিন লাগে, অনেক সময় ৬ জনও লাগে।“

এদিকে বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, হাটে প্রতি মণ বিআর-২৮ নতুন ধান বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ৯৩০ টাকা, মিনিকেট ১১০০ থেকে ১১৫০ টাকা এবং স্থানীয় কাটারী ১০২০ থেকে ১১৭০ টাকা, আতপ ৯০ (সুগন্ধী) ধান ১৯২০ টাকা।

বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. মতলুবর রহমান বলেন, “এবার ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষি বিভাগ জেলার ১২ উপজেলায় ১ লক্ষ ৮৬ হাজার ৭৫০ হাজার মেট্রিক টন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। সেখানে লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। কৃষকরা ভালো দাম পাচ্ছেন।”

Link copied!