• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

কমছে পানি, কেটেছে বন্যার শঙ্কা


কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০২৩, ০৯:৫৭ পিএম
কমছে পানি, কেটেছে বন্যার শঙ্কা

টানা এক সপ্তাহ ধরে ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের কারণে কুড়িগ্রামের নদ-নদীর পানি বাড়তে থাকার পর অবশেষে তা কমতে শুরু করেছে। জেলায় দেখা মিলেছে উজ্জ্বল ঝলমলে নীল আকাশের। এতে বন্যার আতঙ্ক কেটে জনমনে স্বস্তি ফিরেছে।

শুক্রবার (২৩ জুন) সকাল থেকে ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তার পানি কমার পর শনিবার (২৪ জুন) ভোর থেকে ধরলা, দুধকুমার, গঙ্গাধরসহ অন্যসব নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার অনেক নিচে নেমে গেছে। যার ফলে চরাঞ্চলের জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তবে এখনো উলিপুর, নাগেশ্বরী ও সদরের প্রায় ৬০টি গ্রাম পানির নিচে তলিয়ে থাকায় বিশুদ্ধ পানি ও রান্না করা খাবারের সংকটে আছেন এখানকার বানভাসীরা। নিরাপদ পয়ঃনিস্কাশনের অভাবে কয়েকটি চরে দেখা দিয়ে পানিবাহিত রোগ। পানি কমলেও বানভাসীরা এখনো নৌকায়, উঁচু বাঁধে রয়েছেন। ফেরেননি নিজেদের বসতভিটায়।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দুধকুমার নদ পাটেশ্বরী পয়েন্টে ১৪ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৭৪ সেন্টিমিটার, ধরলা নদী সদর পয়েন্টে ২৭ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র নদ নুনখাওয়া পয়েন্টে ১৮ সেন্টিমিটার ও চিলমারী পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৭৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের চর ইয়ুথনেটের বাসিন্দা জহুরুল হক বলেন, “দুইদিন থাকি রইদ উঠে। রইদের কারণে পানি টান (কমা) শুরু করছে।”

নাগেশ্বরীর দুধকুমার তীরের বাসিন্দা মামুনুর রশীদ বলেন, “জেলার সব নদীর পানি কমায় এবারের বন্যার ধাক্কা থাকি রেহাই পাইলাম। আল্লাহর রহমতে ঈদ শান্তিতে হবে।”

ব্রহ্মপুত্রের চিড়া খাওয়া চরের আরেক বাসিন্দা মো. লিটন বলেন, “শুক্রবার দুপুরের পর থাকি এই এলাকার পানি কমা শুরু করছে। বৃষ্টি না থাকায় সবার মধ্যে একটা স্বস্তি ভাব দেখা যায়।”

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “পানি অনেক কমে গেছে। বন্যা সতর্কীকরণের পূর্বাভাস অনুযায়ী রোববার (২৫ জুন) থেকে পানির সমতল হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ঈদের আগে ও পরে আগামী দুই সপ্তাহে এ অঞ্চলে বড় ধরণের বন্যার সম্ভাবনা নেই।”

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, “নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করায় চরের মানুষদের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। পুরো পানি না কমা পর্যন্ত প্রতিনিয়ত ইউএনওদের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হচ্ছে। যেখানেই প্রয়োজন হচ্ছে আমরা সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছি।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা নতুন করে জিআর প্রতিষ্ঠানের জন্য ৮০০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ পেয়েছি। এছাড়া দুই হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ পাওয়া গেছে। পাশাপাশি নিয়মিত বরাদ্দের অংশ হিসেবে ভিজিএফের ৪ লাখ ৬৯ হাজার ৪৯৯ পরিবারকে চাল বিতরণ করা হচ্ছে।” 

Link copied!