• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

চিকিৎসককে মারধরের পর পা ধরে ক্ষমা চাইলেন শ্রমিক নেতা


শরীয়তপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মে ৫, ২০২৪, ০৫:৫০ পিএম
চিকিৎসককে মারধরের পর পা ধরে ক্ষমা চাইলেন শ্রমিক নেতা

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে এক চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় পা ধরে ক্ষমা চেয়েছেন আন্তঃজেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি এলিম পাহাড়।

শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যায় স্থানীয় সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেনের কার্যালয়ে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়। এদিকে ক্ষমা চাওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, এমপি ইকবাল হোসেনের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে ভুক্তভোগী চিকিৎসক শাহরিয়ার ইয়াছিন ও হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হাবিবুর রহমান ছাড়াও অন্যান্য চিকিৎসকরা বসে আছেন। এছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন আহম্মেদ। পরে সেখানে আন্তঃজেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি এলিম পাহাড় উপস্থিত হলে এমপি তাকে চিকিৎসক শাহরিয়ার ইয়াছিনের কাছে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলেন। এলিম পাহাড় তখন শাহরিয়ার ইয়াছিন পা ধরে ক্ষমা চান। পরে তত্ত্বাবধায়ক হাবিবুর রহমানের কাছেও ক্ষমা চান।

এ বিষয়ে সদর হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা শাহরিয়ার ইয়াছিন বলেন, “হাসপাতালে আমার সঙ্গে যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছিল তার প্রেক্ষিতে আমি থানায় একটি এজাহার দাখিল করি। এ ঘটনায় পুলিশ এলিম পাহাড়কে আটক করে। পরে স্থানীয় সংসদ সদস্যের অনুরোধ ও মানবিক দিক বিবেচনা করে অভিযোগটি প্রত্যাহার করেছি।”

আন্তঃজেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি এলিম পাহাড় বলেন, “আমার সঙ্গে চিকিৎসকদের মনোমালিন্য হয়েছিল। পরে এমপি দুই পক্ষের সবাইকে ডেকে মিলিয়ে দেন।”

এ ব্যাপারে জানতে সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হাবিবুর রহমানের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ ঘটনার ব্যাপারে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, এ ঘটনায় ডা. শাহরিয়ার ইয়াছিন একটি লিখিত অভিযোগ করলে এলিম পাহাড়কে আটক করা হয়। পরে অভিযোগকারী অভিযোগটি তুলে ফেললে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এর আগে শনিবার (৪ মে) দুপুরে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসায় দেরির অজুহাতে ডা. শাহরিয়ার ইয়াছিনকে মারধর করেন আন্তঃজেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি এলিম পাহাড়। ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ এলিম পাহাড়কে আটক করে।

Link copied!