• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

টাঙ্গাইলে ভোটযুদ্ধে তিন নারী


হাসান সিকদার, টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২২, ২০২৩, ০১:১১ পিএম
টাঙ্গাইলে ভোটযুদ্ধে তিন নারী
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইলে লড়ছেন তিন নারী প্রার্থী

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইলের তিনটি আসনে ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন তিন নারী। সংরক্ষিত নারী আসনে নয়, পুরুষদের সঙ্গে লড়াই করে জিততে চান তারা। এ তিন প্রার্থী জানিয়েছেন, নির্বাচনে বিজয়ী হলে সন্ত্রাস, মাদক, বৈষম্যমুক্ত সুন্দর ও স্মার্ট সমাজ গড়বেন।

নারী প্রার্থীরা হলেন টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে স্বতন্ত্র (ঈগল) প্রার্থী সারওয়াত সিরাজ শুক্লা, টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের (ডাব) প্রার্থী রুপা রায় চৌধুরী ও টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইলে) তৃণমূল বিএনপির (সোনালী আঁশ) প্রার্থী পারুল। তাদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন ১৯ জন পুরুষ প্রার্থী।

টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের প্রার্থী উপজেলার বেতডোবা গ্রামের সারওয়াত সিরাজ শুক্লা সাবেক মন্ত্রী এবং স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠকারী শাজাহান সিরাজের মেয়ে। শুক্লা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। প্রয়াত বাবার অনুসারীদের নিয়ে তিনি নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন।

সারওয়াত সিরাজ শুক্লা বলেন, “আমার বাবা শাজাহান সিরাজের পাশে যেভাবে কালিহাতীবাসী দাঁড়িয়েছেন আমার পাশেও সেভাবেই থাকবেন। অবশ্যই আমি কালিহাতীকে মাদক, সন্ত্রাস, বৈষম্যমুক্ত, সুন্দর অনন্য উচ্চতার একটি উপজেলা গড়ার জন্য কাজ করব। বিজয়ী হলে সবার আগে শিশু ও নারীদের জন্য একটি হাসপাতাল করব। আমি শতভাগ আশাবাদী, ভোট দিয়ে কালিহাতীর মানুষ আমাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করবে।”

তার বিপরীতে আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী স্বতন্ত্র (ট্রাক) প্রার্থী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আওয়ামী লীগের মনোনীত (নৌকা) প্রার্থী মোজহারুল ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু, জাকের পার্টির (গোলাপ ফুল) প্রার্থী মোন্তাজ আলী, জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল) প্রার্থী লিয়াকত আলী, তৃণমূল বিএনপির (সোনালী আঁশ) শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (একতারা) প্রার্থী শুকুর মামুদ ও জাতীয় পার্টি-জেপির (বাইসাইকেল) প্রার্থী সাদেক সিদ্দিকী ভোটযুদ্ধে রয়েছেন।

এ আসনে ভোটার ৩ লাখ ৫৪ হাজার ৫৫৬ জন। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭৮ হাজার ৮৯২, নারী ভোটার ১ লাখ ৭৫ হাজার ৬৬২, তৃতীয় লিঙ্গের ২ জন।

টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন রুপা রায় চৌধুরী। মির্জাপুরের বাগজান গ্রামের অনিল মৈশালের মেয়ে ও হিমাংশু শেখর রায় চন্দনের স্ত্রী তিনি। এর আগেও তিনি একবার ইউনিয়ন পরিষদে ও দুইবার জাতীয় সংসদ এবং একবার উপনির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। প্রতিবার জামানত হারানো এই নারী এবারও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় করছেন।

রুপা রায় চৌধুরী বলেন, “জনগণের সেবা করা আমার ইচ্ছা। আমার বিশ্বাস, জনগণ একবার না একবার আমাকে সেবা করার সুযোগ দিবেই। আমি বিজয়ী হলে মির্জাপুরকে স্মার্ট উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলব। সুষ্ঠু ও নিরপক্ষ নির্বাচন হলে আমি আশাবাদী বিপুল ভোটে বিজয়ী হব।”

এ আসনে তার বিপরীতে প্রার্থী বর্তমান এমপি ও আওয়ামী লীগের মনোনীত (নৌকা) প্রার্থী খান আহমেদ শুভ, তিনবারের উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র (ট্রাক) প্রার্থী মীর এনায়েত হোসেন মন্টু, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের (গামছা) প্রার্থী আরমান হোসেন তালুকদার, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির (হাতুড়ি) প্রার্থী গোলাম নওজব চৌধুরী, জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল) প্রার্থী জহিরুল ইসলাম জহির, জাকের পার্টির (গোলাপ ফুল) প্রার্থী মোক্তার হোসেন ও জাসদ (মশাল) প্রার্থী মঞ্জুর রহমান মজনু ভোট যুদ্ধে রয়েছেন।

এ ভোটার ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৪৩২ জন। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৮০ হাজার ২০৬, নারী ভোটার ১ লাখ ৭৮ হাজার ২২০, তৃতীয় লিঙ্গ ৬ জন।

টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী নাম লিখিয়েছেন পারুল। কালিহাতী উপজেলার গোলড়া গ্রামের গৃহিনী পারুল লোকমান হোসেনের স্ত্রী। তিনি সখীপুর-বাসাইলে অপরিচিত এক নাম। এই আসনে তাকে চেনেন এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দায়। তারপরও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তিনি।

পারুল বলেন, “আমি অন্যায়, অবিচার, দুর্নীতি দূর করে দুই উপজেলাকে সুন্দর করে সাজাতে প্রার্থী হয়েছি। দুই উপজেলার জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করলে মানবকল্যাণে নিবেদিত থাকব।”

এ আসনের হেভিওয়েট প্রার্থী (গামছা) কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম, সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের মনোনীত (নৌকা) প্রার্থী অনুপম শাজাহান জয়, জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল) প্রার্থী রেজাউল করিম, বিকল্পধারা বাংলাদেশ (কুলা) প্রতীকের প্রার্থী আবুল হাশেম ও বাংলাদেশ কংগ্রেস (ডাব) প্রতীকের প্রার্থী মোস্তফা কামাল।

আলোচিত এ আসনে ভোটার ৩ লাখ ৯০ হাজার ১০ জন। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮২, নারী ভোটার ১ লাখ ৯৬ হাজার ৩৪, তৃতীয় ৪ জন।

Link copied!