• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

‘বেড়িবাঁধ সংস্কার না হলে সব স্বপ্ন তছনছ হয়ে যাবে’


রিজাউল করিম, সাতক্ষীরা
প্রকাশিত: আগস্ট ১৪, ২০২২, ০৯:২৪ পিএম
‘বেড়িবাঁধ সংস্কার না হলে সব স্বপ্ন তছনছ হয়ে যাবে’

বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত লঘুচাপটি ঘণীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার প্রভাবে সুন্দরবন উপকূলীয় নদ-নদীগুলোতে স্বাভাবিক জোয়ারের তুলনায় অনেক বেশি পানির চাপ বেড়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধের কারণে শঙ্কা ও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে শ্যামনগর উপজেলার উপকূলীয় অঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষের মাঝে।

স্বাভাবিক জোয়ারের তুলনায় অতিরিক্ত পানির চাপে ও তীব্র স্রোতের তোড়ে উপকূলীয় অঞ্চলের কৈখালী, গাবুরা, পদ্মপুকুর, বুড়িগোয়ালিনী, রমজাননগরসহ বিভিন্ন এলাকায় বেড়িবাঁধে ছাপিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে।

সিডর-আইলার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে সর্বস্বান্ত হওয়া এ অঞ্চলের মানুষ বহু কষ্টে ঘুরে দাঁড়ানোর পর আবারও কোনো এক প্রাকৃতিক দুর্যোগে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ ভেঙে বাড়িঘরসহ বিস্তীর্ণ ফসলের ক্ষেত লবণপানিতে তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়েছে। এখনই ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ সংস্কার করা না হলে মানুষের স্বপ্ন তছনছ হয়ে যাবে।

গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান জি এম মাসুদুল আলম বলেন, “স্বাভাবিক জোয়ারের তুলনায় খোলপেটুয়া এবং কপোতাক্ষ নদীতে জোয়ারের তীব্রতা অনেক বেশি। ইউনিয়নের  ৯নং সোরা, লেবুবুনিয়া, নাপিতখালীসহ বেশ কিছু এলাকায় বেড়িবাঁধ ছাপিয়ে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে। এতে এলাকার মানুষ আতঙ্কে আছে।”

কৈখালী ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম বলেন, “কৈখালী বিজিবি ক্যাম্প ও ফরেস্ট অফিস সংলগ্ন বেড়িবাঁধ ছাপিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। এছাড়াও পূর্ব কৈখালী আশশ্রয়ন প্রকল্প সংলগ্ন সুইচগেটের দুই পাশ দিয়ে, নিদয়া, কাঠামারী, নৈকাটি এলাকায় বেড়িবাঁধ ছাপিয়ে পানি প্রবেশ করছে। কিছু কিছু জায়গায় এলাকার মানুষ নিজে উদ্যোগে সেগুলো মেরামত করার চেষ্টা করছে।”

পদ্মপুকুর ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদুল ইসলাম বলেন, “নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে ঝাঁপা, পাখিমারা,কামালকাটি, চন্ডিপুর, চাউলখোলা, বন্যতলা এলাকার কিছু অংশের বেড়িবাঁধের অবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা স্বেচ্ছাশ্রমে সেগুলো মেরামত করেছি।”

Link copied!