টাকা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে হত্যা, গ্রেপ্তার ২

ফেনীর ছাগলনাইয়ায় মুরগি বিক্রির টাকা না দেওয়ায় আবুল কাসেম নামের এক ব্যবসায়ীকে মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে ফেনী পুলিশ সুপার জাকির হাসান এসব তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন ছাগলনাইয়া উপজেলার মহামায়া ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামের মোহাম্মদ মোস্তফার ছেলে আলাউদ্দিন মিন্টু এবং ফেনী সদর উপজেলার মোটবী ইউনিয়নের বেদরাবাদ শিলুয়া গ্রামের খুরশিদ আলমের ছেলে দ্বীন মোহাম্মদ নয়ন।

পুলিশ সুপার জাকির হাসান জানান, গ্রেপ্তার আসামিরা পোল্ট্রি ব্যবসায়ী আবুল কাসেমের পূর্ব পরিচিত। আরও একজনসহ তারা মোট চারজন একসঙ্গে প্রায় সময় খামারের পাশে আড্ডা দিতেন। হত্যাকাণ্ডের দুদিন আগে আবুল কাসেম তার খামারের চার লাখ ৫৭ হাজার টাকার মুরগি বিক্রি করেন। মুরগি বিক্রির টাকা হাতিয়ে নিতে আসামিরা নানা ফন্দি আঁটতে শুরু করেন। এরপর বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টার দিকে তারা খামারের পাশে বসে আবুল কাসেমকে নিয়ে কিছুক্ষণ আড্ডা দেন। এক পর্যায়ে তারা মুরগি বিক্রির টাকা দিতে তাকে চাপ দেন।

টাকা ব্যাংকে এবং এই মুহূর্তে তার কাছে কোনো টাকা নেই বলার পরও তারা বিশ্বাস করেনি। এক পর্যায়ে আলাউদ্দিন মিন্টু আবুল কাসেমের মাথায় আঘাত করেন। এতে তিনি রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় দ্বীন মোহাম্মদ নয়ন ও অন্য একজন তাকে লাথি, কিল-ঘুষি মেরে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। পরে পাশের কালিদাস পাহালিয়া খালে মরদেহ ফেলে তারা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করে সূত্র ধরে ছাগলনাইয়া ও ফেনী সদর থেকে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে। এছাড়া এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত অপর একজনকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।

এর আগে শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরে খালে আবুল কাসেমের মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ফেনী হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী লিজা আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন।