জামালপুর সদর উপজেলার দিগপাইত এলাকায় দুবাই হসপিটালে অযত্নে অবহেলায় রিতু (২২) নামের এক প্রসূতি নারীর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (২৬ মে) সকাল ৬টায় হসপিটালে তিনি মারা যান।
এদিকে মৃত্যুর খবর পেয়ে পরিবার ও এলাকার লোকজন হাসপাতালটি তালাবদ্ধ করে দিয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আনে।
নিহত রিতুর বড় ভাই লাবলু মন্ডল জানান, গত দুই ধরেই তার বোন গর্ভবতী রিতুর প্রসব ব্যথা শুরু হয়। এরপর রোববার (২৫ মে) তাকে দিগপাইত দুবাই হসপিটালে নিয়ে যায়। বিকাল ৫টায় তার সিজার করা হলে একটি মেয়ে বাচ্চা হয়। মা-মেয়ে দুইজনই সুস্থ ছিলেন। হঠাৎ রাতে তার বোনের খিঁচুনি উঠে। এ সময় হসপিটালে কোনো ডাক্তার-নার্স ছিল না। এমনকি সে সময় কোনো রোগীও ছিল। সারা রাত মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করে আজ ভোর সকাল ৬টায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর হসপিটালের এক কর্মচারী মৃত্যু খবর নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।
লাবলু মন্ডল বলেন, “আমার বোনের মরদেহ হস্তান্তর করার জন্য হসপিটালের কেউ ছিল না। এই ঘটনার পর এলাকার লোকজন হসপিটালটি তালাবদ্ধ করে দেয়। খবর পেয়ে নারায়ণপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আ স ম আতিকুল রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।”
লাবলু মন্ডল আরও বলেন, “আমরা এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেব। আমার বোনের এটা প্রথম বাচ্চা। রাতে কোনো নার্স ডাক্তার না থাকায় অবহেলা অযত্নে আমার বোনের মৃত্যু হয়েছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।”
নারায়ণপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আ স ম আতিকুল রহমান বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যাই। তার সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করছি। ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”
জামালপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. আজিজুল হক বলেন, “খবরটি শুনে আমার কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছি। তারা আসার পর বিস্তারিত জানতে পারব। আমি হসপিটালটির কাগজপত্র খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”
এ ব্যাপারে হসপিটাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা ফোন ধরেননি।
