• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

স্ত্রী-শ্বাশুড়িকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড


শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ৫, ২০২৩, ০৬:১২ পিএম
স্ত্রী-শ্বাশুড়িকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড

শেরপুরে স্ত্রী-শ্বাশুড়িকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে ইসমাইল হোসেন (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

বুধবার (৫ জুলাই) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ তৌফিক আজিজ এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আসামি ইসমাইল হোসেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

ইসমাইল ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার চরগোরকপুর গ্রামের মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ইসমাইল তার স্ত্রী বিলকিস আক্তার (২৫) ও সন্তানকে নিয়ে ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। ২০১৫ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর সন্তানকে নিয়ে বিলকিস তার ভাই আব্দুল খালেকের বাড়িতে বেড়াতে যান। এরপর ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে ইসমাইলও সেই বাড়িতে বেড়াতে যান। সেখানে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিলকিস ও ইসমাইলের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে ইসমাইল দা দিয়ে বিলকিসকে এলোপাথারি কোপাতে থাকেন। সে সময় তার চিৎকারে মা খালেদা বেগম, মামা নুরুল আমিন, প্রতিবেশী কুদ্দুস মিয়া ও চাচি সেলিমা বেগম এগিয়ে গেলে তাদেরকেও কুপিয়ে জখম করেন ইসমাইল। পরে আশপাশের লোকজন গিয়ে ইসমাইলকে আটক করে পুলিশে দেয়। 

পরে বিলকিস ও তার মাসহ আহত পাঁচজনকে গুরুতর অবস্থায় প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন বিলকিসের মৃত্যু হয়। 

আহত অন্যদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুদিন পর খালেদা বেগম মারা যান।

এ ঘটনার পরদিন বিলকিসের বড় ভাই আব্দুল খালেক বাদী হয়ে ইসমাইলকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

আদালতের পিপি চন্দন কুমার জানান, এ ঘটনায় ওই বছরের ২ অক্টোবর ইসমাইল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ২০১৬ সালের ২৮ মে ইসমাইলকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নজরুল ইসলাম। 

চন্দন কুমার আরও জানান, দুইজনকে হত্যা ও তিনজনকে পঙ্গু করার অপরাধে আদালত ইসমাইল হোসেনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ খুশি। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে রায় বাস্তবায়ন করতে হবে। এই রায় বাস্তবায়ন না হলে অপরাধ করতে মানুষ আগ্রহী হয়ে উঠবে।

এদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী জাহিদুল হক আধার রায়ের বিষয়ে তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান।

Link copied!