• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

কুড়িগ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত


কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০২৩, ০৯:৫৬ পিএম
কুড়িগ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

কুড়িগ্রামে গত দুই সপ্তাহ ধরে ভারি বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে জেলার নদ-নদীতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে জেলার বেশ কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও ধরলার কয়েকটি চরে তলিয়ে গেছে বীজতলাসহ আবাদি সবজি ক্ষেত।

জেলা সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের কৃষক মো. এরশাদুল বলেন, “এবার হামার দুই বিঘা জমিত ভালোই পটল আবাদ হইছিল। সকালে পটল ক্ষেতত নদীর পানি আসি সোগ তলে গেছে। যতকোনা পাইছি জমি থাকি পটল তুলছি। বাকিগুলা তুলতে পারি নাই।”

চর ইয়ুথনেটের বাসিন্দা লাকি বেগম বলেন, “গত রাইত থাকি পানি বাড়ছে। আজ সকালে বাড়ির উঠোনত পানি আসছে। চলা-ফেরায় একটু কষ্ট হচ্ছে।”

পাশ্ববর্তী খেয়ার আলগা চরের আরেক বাসিন্দা নাদু শেখ বলেন, “এই চরে ৮০টা পরিবার আছি। সকাল থেকে নদীর পানি বাড়তেছে চরের চারপাশটা পানিতে তলিয়ে গেছে।”

এ ব্যাপারে যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর জানান, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরের অনেক পরিবার পানিবন্দী হবার আশঙ্কায় রয়েছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে দু-তিনদিনের মধ্যে অনেক বাড়িতে পানি প্রবেশ করবে।

সরেজমিনে দেখা যায়, পানি বাড়ার সঙ্গে জেলার বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। সদরের সারডোব, তিস্তার গতিয়াশাম, উলিপুরের বেগমগঞ্জ, চিলমারীর নয়ারহাটে ক্রমাগত নদী ভাঙন বৃদ্ধি পাচ্ছে। নদী ভাঙনের কারণে ইতোমধ্যে কয়েকটি স্থাপনাও নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত সবগুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভাঙন ঠেকাতে প্রতিনিয়ত জিওব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা চলছে।

এ দিকে সম্ভাব্য বন্যা মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের সব ধরণের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরিফ। তিনি বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে জেলা পর্যায়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সভা করেছি। সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমাদের পর্যাপ্ত ত্রানসামগ্রী মজুদ ও আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে।”

Link copied!