পাবনা সদর উপজেলায় বর্ষা খাতুন (১৮) নামের এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার মজিদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, প্রেম করে ১ মাস আগে পাবনার আতাইকুলা থানার মৌপাড়া গ্রামের শাহেদ আলীর ছেলে মীর্জা মাহফুজুর রহমানের সঙ্গে সদর উপজেলার মালিগাছা ইউনিয়নের মজিদপুর গ্রামের বিষুর মেয়ে বর্ষা খাতুনের বিয়ে হয়। বর্ষা সম্প্রতি এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় এবং টেবুনিয়া শামছুল হুদা ডিগ্রি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়। কলেজে ভর্তির কাজে সে কিছু দিন ধরে বাবার বাড়ি অবস্থান করছিল। রোববার বর্ষার স্বামী মীর্জা মাহফুজুর রহমান শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে আসেন। তারা রাতের খাওয়া শেষে এক ঘরে ঘুমাতে যান। রাত ৪টার দিকে বর্ষা ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে বাড়ির সদস্যদের জানান মাহফুজুর রহমান।
নিহতের চাচাতো ভাই মাহফুজুর রহমান বলেন, “বর্ষাকে শ্বাসরোধে করে হত্যা করা হয়েছে। কারণ তার ঘাড়, গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।”
পাবনা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা মনে হলেও তাকে হত্যা করা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী মীর্জা মাহফুজুর রহমান এবং তার বাবা শাহেদ আলীকে জিজ্ঞাসাবাদ এর জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। লাশের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।