• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার পর ওয়ারড্রবে ঢুকিয়ে রাখেন জামাল


লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মে ৫, ২০২৩, ০৭:০৮ পিএম
স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার পর ওয়ারড্রবে ঢুকিয়ে রাখেন জামাল

পারিবারিক বিরোধের জেরে স্ত্রী রওশন আরা বেগমকে (৩০) গলা টিপে ও ঘুমন্ত শিশু নুসরাতকে (১) বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে তাদের মরদেহ ওয়ারড্রবে ঢুকিয়ে রাখেন জামাল উদ্দিন।

শুক্রবার (৫ মে) দুপুরে র‌্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

র‌্যাব জানায়, ঢাকার রায়েরবাগ এলাকায় পারিবারিক বিরোধের জেরে স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার পর ওয়ারড্রবে ঢুকিয়ে রাখেন জামাল। এরপর মরদেহগুলো লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ এলাকায় এনে একটি খালে ফেলে দেন। পরে পুলিশ খালের পৃথক স্থান থেকে অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করে। ঘটনার ২০দিন পর র্যাব হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ মে) তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকায় শ্যামপুর থেকে জামাল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

জামাল চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণের বহরীগ্রামের রুহুল আমিন মিঝির ছেলে। নিহত রওশন আরা বেগম তার দ্বিতীয় স্ত্রী ও ফরিদপুর জেলার কোতোয়ালী থানার আজোলবেড়া গ্রামের কেরামত আলীর মেয়ে।

জামালের বরাত দিয়ে র‌্যাব জানায়, ২০১৯ সালে জামাল উদ্দিন রওশন আরাকে বিয়ে করেন। রওশান আরা জামালের দ্বিতীয় স্ত্রী। বিয়ের পর থেকে জামাল ও রওশন আরার পারিবারিক বিরোধ চলে আসছিল। তারা দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা রায়েরবাগ এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। এরই মধ্যে তাদের সংসারে নুসরাতের জন্ম হয়।

গত ১৫ এপ্রিল দাম্পত্য কলহের জেরে স্ত্রী রওশনকে গলা টিপে শ্বাসরোধে হত্যা করেন জামাল। পরে ঘুমন্ত অবস্থায় এক বছরের শিশু কন্যাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেন তিনি। পরে বাসার মালামালসহ দুইজনের মরদেহ ওয়্যারড্রবে রেখে দেন। পরিচিত একজনের পিকআপ ভ্যান ভাড়া করে তিনি ওয়ারড্রপসহ বাসার মালামাল পিকআপভ্যানে তোলেন। নোয়াখালীর উদ্দেশে জামাল ঢাকা থেকে রওয়ানা দেন। কিন্তু নোয়াখালী না গিয়ে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জের দুইটি পৃথক স্থানে ব্রিজের নিচে লাশগুলো খালে ফেলে দেন তিনি।

পরে ১৯ এপ্রিল রামগঞ্জ-সোনাইমুড়ি সড়কের পাশে খালের হানুবাইশ ব্রিজের নিচে শিশু ও পাশ্ববর্তী আলীপুর এসপি বাড়ির সামনের ব্রিজের নিচ থেকে নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

র‌্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান জানান, প্রাথমিকভাবে নিহত রওশনের স্বামীকে সন্দেহ করা হয়। কিন্তু তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তার ফোনও বন্ধ ছিল। পরে গোয়েন্দা তদন্ত ও প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ঢাকার শ্যামপুর এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার জামালকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেন।

Link copied!