খুলনায় ২৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। রোববার (১৬ এপ্রিল) জেলায় ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এই অসহনীয় গরমের সঙ্গে মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে লোডশেডিং। ৩-৪ দিন ধরে প্রতিদিন গড়ে ৫-৬ ঘণ্টা করে অনিয়মিতভাবে লোডশেডিং হচ্ছে।
খুলনা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রোববার (১৬ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এদিন এই দুই জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর খুলনায় ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া বাগেরহাটের মোংলায় ৪১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সাতক্ষীরা ও কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
খালিশপুরের দোকানি বজলুর রহমান সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “প্রচণ্ড গরমে বাঁচা দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে। অতিরিক্ত গরমের কারণে রোজাও রাখতে পারছি না। এই গরমের মধ্যে আবার অগ্রিম টাকা দিয়ে বিদ্যুৎ কিনেও সে বিদ্যুৎ থাকছে না। খুব খারাপ অবস্থায় আছি।”
কাপড় ব্যবসায়ী শাকিব বলেন, “চার পাঁচ দিনে যে পরিমাণে গরম বেড়েছে ব্যবসা ভালো হলেও ব্যবসা করতে খুব কষ্ট হচ্ছে। তাছাড়া এই গরমে ক্রেতারাও অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে মার্কেট করতে এসে। আমরা ছোট ব্যবসায়ী দোকানে এসি লাগানোর মত পরিস্থিতি আমাদের নেই।”
নগরীর পিপলস গোল চত্বরের চা বিক্রেতা মো. মারুফ বলেন, “এমনিতেই কয়দিন ধরে প্রচুর গরম পড়ছে, এই গরমের কারণে অনেক কষ্টে আছি। তার মধ্যে বেচাকেনা নাই। কাস্টমার বলে গরমে চা খাবে না।”
খুলনা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ সিনিয়র আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ জানান, খুলনা বিভাগে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। আজ খুলনায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। যা ২৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। আরও ২-৩ দিন তাপমাত্রা অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর খুলনায় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।






































